চুয়াডাঙ্গার দৌলাতদিয়াড়ে স্কুলছাত্রীর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দৌলাতদিয়াড়ে স্কুলছাত্রী লক্ষ্মী অধিকারী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল দুপুরে সে তাদের বাড়িতে নিজ ঘরের ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে তার পরিবারের সদস্যরা। লক্ষ্মী অধিকারী চুয়াডাঙ্গা শহরতলির দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার মনতোষ অধিকারীর মেয়ে ও চুয়াডাঙ্গা ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী।

পরিবারের সদস্যরা বলেছে,  লক্ষ্মী অধিকারী অসুস্থতার যন্ত্রণা সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। লক্ষ্মী অধিকারী ছিলো অসুস্থ। ক’দিন আগে চুয়াডাঙ্গার একটি ক্লিনিকে অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করা হয় লক্ষ্মী অধিকারীর। মাথার যন্ত্রণাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলো বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। শারীরিক যন্ত্রণা সইতে না পেরে লক্ষ্মী অধিকারী তার মাকে বলতো সে আত্মহত্যা করবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে লক্ষ্মীর মা চুয়াডাঙ্গার বড়বাজারে যান তার জন্য ওষুধ কিনতে। সে সুযোগে লক্ষ্মী তার নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। লক্ষ্মীকে বেশ কিছু সময় না পেয়ে তার এক ভাবী রুপা অধিকারী ঘরের দরজা বন্ধ দেখে জানালা দিয়ে ঘরের ভেতর উকি দিতেই দেখতে পান ঝুলন্ত লক্ষ্মীকে। রুপার চিৎকার চেচামেচিতে প্রতিবেশীরা ছিটে আসে। দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোনিয়া আহমেদ লক্ষ্মী অধিকারীকে মৃত বলে ঘোষণা দেন। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ বাড়িতে নেয়া হয়। গতরাতেই তার লাশের সৎকার করা হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে।