আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার ভোদুয়ায় ৯ মাসের শিশুকন্যার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। গত শনিবার কন্যাশিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে শিশুসন্তানকে নিয়ে মা তার পিতার বাড়ি বাদেমাজু যাওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকালমৃত্যু হয়। এদিকে শিশুটির মৃত্যুকে রহস্যজনক মন্তব্য করে গ্রামের একটি চক্র সকলকে তটস্থ করে তোলে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার ভোদুয়া গ্রামের তোরাপ আলীর ছেলে শাহিনের সাথে বাদেমাজু গ্রামের হাসেম আলীর মেয়ে ফাতেমার কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের ৯ মাস আগে একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়। ৯ মাস বয়সী শিশুটির নাম রাখা হয় আয়েশা। আয়েশা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে গত শনিবার শাহিন তার স্ত্রীর হাতে ৫শ টাকা দিয়ে পিতার বাড়ি বাদেমাজু গ্রামে পাঠিয়ে দেয়। অসুস্থ কন্যাকে আলমডাঙ্গার একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে ক্লিনিক মালিক ওই শিশুকে ভর্তি করেনি। পরে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুকন্যা আয়েশা। এদিকে ভোদুয়া থেকে বাদেমাজু গ্রামে শিশুটির পিতা শাহিন আলী লাশ নিতে গেলে গ্রামে উত্তেজনা দেখা দেয়। গ্রামের লোকজন অভিযোগ করেন কন্যা সন্তানটিকে মাদকসেবী পিতা নির্যাতন করে অসুস্থ করে পিতার বাড়ি পাঠানোর কারণে এ মৃত্যু ঘটেছে। পরে ডাউকি ইউপি চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে লাশ নিজ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেকে দাবি করেন গ্রামের একটি চক্র এ মৃত্যুকে রহস্যজনক আখ্যা দিয়ে গোলযোগ সৃষ্টির অপচেষ্টা করে।