ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে নিখোঁজ সন্তানদের শোকে শোকাতুর হয়ে উঠেছেন অসংখ্য পরিবার। অনেক খোঁজাখুজির পরও সন্ধান না পাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারগুলো। অধিকাংশকেই শাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারগুলোর। পুলিশের দাবি ঘটনাগুলোর তদন্ত করে নিখোঁজদের উদ্ধারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বারইখালী গ্রামের মনোয়ার হোসেনকে গত ৬ মে রাতে অন্যের বাড়ি চিনিয়ে দেয়ার কথা বলে শাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকেই স্বামীর সন্ধ্যানে কান্নার ভাষাও যেনো হারিয়ে ফেলেছেন স্ত্রী বিপাশা খাতুন। আচমকায় মধ্যরাতে ঘুম ভাঙে সন্তানের বাবা ডাক শুনে। ঘুম থেকে উঠে শিশুটি দেখতে পায়না তার বাবাকে।
গতকাল স্বরজমিনে দেখা গেছে এমন চিত্র জেলা সদরের পোড়াহাটি ইউনিয়নের বারইখালী, ধানহাড়িয়া-চুয়াডাঙ্গা, পোড়াহাটি, গয়েশপুর গ্রামসহ জেলা সদর ও শৈলকুপার বিভিন্ন এলাকার ১২ পরিবারের। প্রায় আড়াই মাস আগে এসব গ্রাম থেকে নিখোঁজ হন ১২ জন। তাদেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় রাতের বেলায়। পাশাপাশি কয়েকটি গ্রাম থেকে নিখোঁজের সংখ্যা বেশি থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পরিবারগুলো। অনেক খোঁজাখুজির পরও মিলছে না নিখোঁজদের কোনো সন্ধ্যান। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় ৫টি জিডিও করা হয়েছে। কোনো কোনো পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম সন্তান নিখোঁজ থাকায় দুবেলা দুমুঠো ভাতও জুটছে না, নির্ঘুম কাটছে রাতের পর রাত। এ অবস্থায় নিখোঁজদের ফিরে পেতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন পরিবারগুলো। শুধু ভুক্তভোগী পরিবারই নয় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষ। তাদের দাবি বিভিন্ন গ্রামে যেনো বাড়ানো হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানা ওসি শেখ এমদাদুল হক বলেন, নিখোঁজদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে, পুলিশ অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
াইদহ।