জোর গুঞ্জন, এই মৌসুমে হয়তো বার্সেলোনা ছেড়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেইঁয়ে (পিএসজি) যাচ্ছেন নেইমার। কিন্তু কাল যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে ৮০ হাজার দর্শকের সামনে নেইমার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন বার্সার জন্য তিনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়। তাঁর জোড়া গোলে ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নস কাপে জুভেন্টাসকে ২-১ গোলে হারানোর পর বার্সেলোনা–সমর্থকদের মধ্যে রীতিমতো হাহাকার তাঁকে নিয়ে—‘বিদায় বোলো না নেইমার।’
এই জুভেন্টাসের বিপক্ষে হেরেই চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় ঘটেছিল বার্সেলোনার। চ্যাম্পিয়নস কাপে এই জয়টা সে হিসেবে মেসি-নেইমারদের জন্য একধরনের মধুর প্রতিশোধই। ম্যাচের ১৫ মিনিটেই বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন নেইমার। গোলের উৎসে ছিলেন মেসিই। আর্জেন্টাইন তারকার পাসটা ধরে পাকো আলকাসেরের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে গোলকিপার বুফনকে পরাস্ত করেন ব্রাজিলীয় তারকা।
২৬ মিনিটে বার্সেলোনাকে আবারও এগিয়ে দেন নেইমার। এই গোলও মেসির পাস থেকে । মেসির পাস থেকে বল নিয়ে বক্সের একটু ডান দিকে সরে গিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন নেইমার।
দ্বিতীয়ার্ধে মেসি-নেইমার কাউকে মাঠে নামাননি বার্সেলোনা কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে। মাঠে নামেন লুইস সুয়ারেজ। তবে মেসি-নেইমারবিহীন বার্সার ওপর এই অর্ধে চড়াও হয় জুভেন্টাস। দিবালা-হিগুয়েইনরা তৈরি করতে থাকেন গোলের সুযোগ। ৬৩ মিনিটে দিবালার ক্রস থেকেই সুন্দর হেডে গোল করেন জর্জো কিয়েলিনি। বাকি সময়টা বার্সার ওপর চড়াও হয়েও সমতায় ফিরতে পারেনি তারা।
ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা না বলেই স্টেডিয়াম থেকে চলে যান নেইমার। পরে অবশ্য কোচ ভালভার্দের কণ্ঠে ছিল নেইমারকে নিয়ে আকুতিই, ‘আমরা নেইমারকে আমাদের সঙ্গে চাই। আমরা মাঠে ও মাঠের বাইরে তাঁর মূল্যটা বেশ ভালোই জানি।’