চোরাচালান মাদক ও সীমান্ত অতিক্রম রোধ শীর্ষক মতবিনিময়সভায় এমপি আলী আজগার টগর

 

চোরাচালান মাদক নারী পাচার রোধ ও সামাজিক নিরাপত্তায় সকলকে সচেতন হতে হবে

দর্শনা অফিস/কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: চোরাচালান, মাদক ও সীমান্ত অতিক্রম রোধে সোচ্চার ভূমিকা গ্রহণ করছে বিজিবি। যেকোনো মূল্যে এ জেলাকে মাদক ও চোরাচালান মুক্ত করণে বিজিবি’র দফায় দফায় অভিযান প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিজিবি’র পাশাপাশি সমাজের সাধারণ মানুষের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে দামুড়হুদার কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে।

গতকাল শনিবার বেলা ১০টার দিকে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর বলেন, মাদক ধ্বংস করে দেশ, জাতি, সমাজ, পরিবার ও ব্যক্তিকে। বৃদ্ধি পায় সামাজিক অবক্ষয় ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। ধ্বংসের পথে ধাবিত হয় যুবসমাজ। মাদকের করাল থাবা নিঃশেষ করে দেয় মনুষ্যত্বকে। চোরাচালান দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার দেশের ভাবমূর্তি ও সমাজাকি মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে। আমি মাদকের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার। যারা মাদকের বিকিকিনি করে কলূষিত করছে দেশ, জাতীয় ও সমাজকে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে। মনে রাখতে হবে মাদক ও চোরাকারাবারিরা দেশের চরম শত্রু। তাই এদের রুখতে গড়ে তুলতে হবে সামাজিক আন্দোলন। শুধু বিজিবিই নয়, সীমান্তে এ ধরনের অপরাধ মোকাবেলা করার দায়িত্ব আপনার, আমার সকলেরই। সেই সাথে মাদক, নারী পাচার রোধ ও সামাজিক নিরাপত্তা সাধনে নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে সকলকে। বাংলাদেশ দিনদিন উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে গোটা বিশ্বে। সীমান্ত অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক, চোরাচালান, শিশু ও নারী পাচার আমাদের জন্য ন্যাক্কার জনক বটে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা-৬ বর্ডার গার্ডের পরিচালক লে. কর্নেল রাশিদুল আলম বলেন, নারী পাচার, মাদক চোরাচালান, সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সীমান্তে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রুখতে বিজিবি সবসময় সোচ্চার। আমি বিশ্বাস করি এ সমাজে গুটি কয়েকজন এ ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত। তাদের সংখ্যা ভালো মানুষগুলোর তুলনায় একেবারেই নগন্য। সেক্ষেত্রে এ সমাজের মানুষেরাই পারে ওই ধরনের অপরাধীদের চিহ্নিত করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। চোরাচালানীরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন আপনাদের সহযোগিতা পেলে এদের দমন করা খুবই সহজ হবে। তাই আসুন সমাজ, জাতি তথা দেশের স্বার্থে এদের চিহ্নিত করে আইনের কাঠগড়াই দাঁড় করিয়ে শাস্তি নিশ্চিত করি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, মাদকদ্রব্য মানবিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে। চোরাচালান, নারী এবং শিশু পাচার মানবধিকার লংঘন ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। তারা মাদক কারবারি, চোরাচালানী ও সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীচক্র যে দলের বা যত শক্তিশালীই হোক তাদের চিহ্নিত করতে এলাকাবাসীকে সোচ্চার ভূমিকা নিতে হবে।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা সহকারী পুলিশ সুপার কলিম উদ্দিন, দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম, কুড়ুলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ভুতট্টো, কুড়ুলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান শাহ এনামুল করিম ইনু, দামুড়হুদা থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন ও দর্শনা তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর শোনিত কুমার গায়েন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা সরোয়ার হোসেন, শরিফুল ইসলাম, আ. হামিদ, মারুফ শাহ, নজরুল ইসলাম খোকন, শমসের আলী, রেকাব আলী, সিরাজুল ইসলাম, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আ. রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান কচি, যুগ্মসম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ, শরীফ রতন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেদী হাসান মিলন, দফতর সম্পাদক বখতিয়ার খলজি বকুল, দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহম্মেদ রিংকু । অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ছাত্রলীগ নেতা চঞ্চল।