অপহৃত ফরহাদ মজহারকে যশোর থেকে উদ্ধার

 

স্টাফ রিপোর্টার:  রাজধানী থেকে অপহৃত কবি, সাহিত্যিক ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহারকে যশোরের নোয়াপাড়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে উদ্ধার করে র‌্যাব। ফরহাদ মজহারকে অভয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, সোমবার ভোরে মোহাম্মদপুর আদাবরের ‘হক গার্ডেন’র নিজ বাসা থেকে বের হওয়ার পর তাকে অপহরণ করা হয়।

আদাবর থানার ডিউটি অফিসার আলেয়া বেগম জানান, ভোর পাঁচটা ছয় মিনিটের দিকে নিজ ফ্ল্যাট থেকে বের হন ফরহাদ মজহার। পরে কবির নম্বর থেকে বেশ কয়েকদফা ফোন করে তার স্ত্রীর সাথে কথা বলা হয়। কবিকে ছাড়তে মুক্তিপণও চাওয়া হয়। পরে তার পরিবারের পক্ষ থেকে ফরহাদ মজহারের অপহরণের বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হলে পুলিশ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আদাবর থানার পুলিশ সদস্যরা কবির ফ্ল্যাট পরিদর্শন করেন। এ সময় কবির পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। এর আগে পরিবারের পক্ষ থেকে রাজধানীর শ্যামলীর আদাবরের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতার এবং পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুরা।

সংবাদ সম্মেলনে ফরিদা আখতার বলেন, ফরহাদ মজহার সাধারণত সকালে উঠে লেখালেখি করেন। সোমবার সকালে উঠে তিনি তাকে দেখতে পাননি। ভোর ৫টা ২৯ মিনিটে ফরিদা আখতারের ফোনে কল আসে। সে সময় ফরহাদ মজহার বলেন, ‘ওরা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে। মেরে ফেলবে।’

ফরিদা আখতার বলেন, দ্বিতীয়বার কল আসে সকাল ৬টা ২১ মিনিটে। ওই কলে ৩৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। এরপর সারা দিনে ছয়বার কল এসেছে। প্রতিবারই টাকা চাওয়া হয়। সর্বশেষ কলটি আসে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। এ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফরহাদ মজহারের ভাই মইনুল হক, পিনাকী ভট্টাচার্য, গৌতম দাস, নুরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ। এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে আরও দেন ফরহাদ মজহারের মেয়ে সমতলী হক ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী।