দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের বাড়তি চাপ |
স্টাফ রিপোর্টার: প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে শনিবার সকাল থেকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীদের বাড়তি চাপ লক্ষ্য করা গেছে। যার ফলে যাত্রীবাহী পরিবহন, মাইক্রোবাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন ফেরি পারাপারের জন্য আটকা পড়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট ব্যাবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, স্বাভাবিকভাবে এই রুট দিয়ে দুই হাজার থেকে ২২ শত যানবাহন পারাপার হলেও বর্তমানে সেই পরিমান হয়েছে দ্বিগুণ আর বৈরি আবহাওয়ার কারণে ফেরি ঘাটে পৌঁছুতে সময় বেশি লাগছে যে কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি মোকাবেলায় ছোট-বড় মোট ১৮টি ফেরি সার্বক্ষণিক সচল রেখে বিভিন্ন গাড়ি ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। আর যাত্রীরা জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে ভোগান্তি না থাকলেও ভোগান্তি রয়েছে পথে পথে, পরিবহনগুলো দ্বিগুন ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করেন তারা। প্রসঙ্গত: এ রুট দিয়েই চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ঝিনাইদহের কোচগুলো ঢাকায় আসা যাওয়া করছে।
শেরপুরের ছেলেকে বিয়ে করলেন রুশ তরুণী
স্টাফ রিপোর্টার: চার বছরের প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে এসে শেরপুরের এক যুবককে বিয়ে করেছেন রুশ তরুণী সিভেতলানা। গত শুক্রবার রাতে শেরপুর জেলা শহরের গোপালবাড়ি মন্দিরে ইস্কন সদস্যদের তত্ত্বাবধানে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।গতকাল শনিবার ওই নবদম্পতিকে দেখতে শহরের গৃদানারায়ণপুরের এক স্বজনের বাসায় ওই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় এলাকাবাসী ভিড় জমান। শেরপুর ইসকন মন্দির সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সন্যাসীভিটা গ্রামের প্রয়াত ধীরেন্দ্র চন্দ্র সরকারের ছোট ছেলে সনাতন ধর্মাবলম্বী ধর্মকান্ত সরকার রাশিয়ায় যান। সেখানে আস্ত্রাখান টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে তেল, গ্যাস ও পেট্রোল বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। ২০১২ সালে মস্কোতে অবস্থিত ও ইস্কন প্রতিষ্ঠিত জগন্নাথ বলদেব সুভদ্রা মন্দিরে যান তিনি। ইস্কনের নিয়মানুযায়ী মন্দিরের বিভিন্ন সেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হন। ২০১৩ সালে মন্দিরের গুরুদেব আনন্তা কৃষ্ণা মহারাজের মাধ্যমে সেখানেই তার সাথে পরিচয় ঘটে রুশ তরুণী সিভেতলানার। এর সূত্র ধরেই এক মাস আগে বাংলাদেশে আসেন সিভেতলানা। তারা কিছুদিন সন্ন্যাসী ভিটায় থেকে চলে আসেন শেরপুর শহরের ইস্কন মন্দিরে। দু’জনই যুক্ত হন এ মন্দিরের সেবামূলক কাজের সঙ্গে।