কেইম্যান আইল্যান্ডের গভর্নর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আনোয়ার চৌধুরী
মাথাভাঙ্গা মনিটর: একযুগ আগে বাংলাদেশেব্রিটিশ হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্বপালন করে যাওয়া আনোয়ার চৌধুরীকে যুক্তরাজ্যের ওভারসিজ টেরিটরি কেইম্যান আইল্যান্ডের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গত সোমবার ব্রিটিশ সরকারের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পেরুতে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে থাকা আনোয়ার চৌধুরী ২০১৮ সালের মার্চ থেকে কেইম্যান আইল্যান্ডের গভর্নর হেলেন কিলপ্যাট্রিকের স্থলাভিষিক্ত হবেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আনোয়ার চৌধুরী ২০০৪ থেকে চার বছর ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনার ছিলেন। ওই সময় সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে তাকে হত্যা করতে গ্রেনেড হামলা হয়। ওই ঘটনায় তিনজন নিহত হন, আনোয়ার চৌধুরীসহ ৪০ জন আহত হন। সম্প্রতি ওই হামলার মূল আসামি হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। বাংলাদেশ থেকে ২০০৮ সালে ফিরে গিয়ে আনোয়ার চৌধুরী ২০১১ সাল পর্যন্ত ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউশন বিভাগের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ওই দফতরের আরও কয়েকটি পদে কাজ করেন তিনি। ২০১৩ সালে তাকে রাষ্ট্রদূত করে পেরুতে পাঠানো হয়।
ফের হ্যাকিংয়ের শিকার বিশ্বের ৮ দেশ
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইউক্রেন থেকে শুরু হওয়া বড় আকারের সাইবার আক্রমণ এখন পৃথিবীর অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ইউক্রেন ছাড়াও রাশিয়া, ব্রিটেন, ডেনমার্ক, স্পেন, ফ্রান্স, ও নরওয়ে থেকে শুরু করে ভারত পর্যন্ত অনেকগুলো দেশের বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ব্যবস্থা সাইবার হামলায় আক্রান্ত হয়েছে। কিছু কিছু কোম্পানি তাদের কম্পিউটারের পর্দার ছবি প্রকাশ করেছে যাতে দেখা যাচ্ছে হ্যাকাররা তাদের হাত থেকে মুক্তির বিনিময়ে বিটকয়েন দিয়ে বিভিন্ন অংকের অর্থ দাবি করছে। আক্রান্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে আছে ডেনমার্কের শিপিং প্রতিষ্ঠান মেরস্ক, রুশ তেল কোম্পানি রসনেফট, ও পৃথিবীর বৃহত্তম বিজ্ঞাপনী সংস্থা ব্রিটেনের ডব্লিউপিপি। এছাড়াও আক্রান্ত হয়েছে স্পেন ও ফ্রান্সের কয়েকটি বহুজাতিক ও নির্মাণ কোম্পানি। ইউক্রেনে সাইবার হামলা ছিলো অত্যন্ত গুরুতর যাতে সরকারি মন্ত্রণালয়, বিদ্যুত কোম্পানি, ব্যাংক, ও কিয়েভের বিমানবন্দর আক্রান্ত হয়।
ছবিটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত আদনান।
মুম্বাই হামলায় দোষীসাব্যস্ত মুস্তফা দোসার মৃত্যু
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের মুম্বাইয়ে ১৯৯৩ সালে চালানো ধারাবাহিক বোমা হামলার ঘটনায় দোষীসাব্যস্ত মুস্তফা দোসা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বুধবার ভোরে বুকে প্রচণ্ড ব্যাথার কারণে মুস্তফাকে কারাগারের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ছিলো। বিবিসি জানায়, মাত্র একদিন আগে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে তার মৃত্যুদণ্ডের আবেদন করেন। আইনজীবীদের যুক্তি, মুম্বাই হামলার মূল পরিকল্পনাকারীদের অন্যতম মুস্তফা ফাঁসি কার্যকর হওয়া ইয়াকুব মেমনের চেয়েও বেশি মারাত্মক অপরাধী। মুম্বাইয়ে অস্ত্র পরিবহন করে আনার অপরাধে মুস্তফা দোষী সাব্যস্ত হন। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে তাকে গ্রেফতার করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল বলে জানায় এনডিটিভি। ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ মুম্বাইয়ের (তখন বোম্বে নামে পরিচিত ছিলো) শেয়ার বাজার, একটি জনপ্রিয় সিনেমা হল ও দুটি মার্কেটে সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়। যাতে অন্তত ২৫৭ জন নিহত হয় এবং ৭১৩ জন আহত হন।