নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তফশিল দিলে দেশ অচল করে দেয়া হবে
স্টাফ রিপোর্টার: নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আগামীকাল রোববার সারাদেশে জেলা, উপজেলা, থানা ও পৌরসভায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি গতকাল শুক্রবার ঢাকার বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বলেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হলে দেশ অচল করার হুমকি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৮-দলীয় জোটের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ হুমকি দেন।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল করে। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি, বিএনপির একাংশ, অর্থসম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপি নেতা লে.কর্নেল কামরুজ্জামান সমর্থকেরা পৃথক স্থান থেকে মিছিল বের করে। প্রতিটি মিছিলই পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। তবে পুলিশ আটকাতে পারেনি। বাধা অতিক্রম করে মিছিলগুলো জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। দীর্ঘদিন পর চুয়াডাঙ্গা বিএনিপর পৃথক ৪টি অংশ গতকাল প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করতে সক্ষম হয়। ১৮ দলীয় নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন, সরকারের পদত্যাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে পুনঃবহালের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহীদ হাসান চত্বর হয়ে কোর্ট রোডে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। মিছিলটি পুলিশি বাধা অতিক্রম করে কোর্ট রোডে জেলা জজ সাহেবের বাসভবনের সামনে ঘুরে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, মন্ত্রীপরিষদ ভেঙে দিয়ে সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে পুনঃবহাল করার মাধ্যমে সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দাবি করেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সহসভাপতি এম জেনারেল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জমান বুলা। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আ.স.ম আব্দুর রউফ, সদর থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শামিম রেজা ডালিম, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মনটু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক মালিক মজু, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরিফ-উর-জামান সিজার, জেলা জাসাস সভাপতি শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপি একাংশের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি কোর্টমোড় থেকে বের হয়ে শহীদ হসান চত্বর হয়ে শহীদ আবুল কাসেম সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা হয়ে দাঁড়ায়। পুলিশের বাধা অতিক্রম করে মিছিলটি প্রিন্সপ্লাজা মার্কেটের সামনে থেকে ফিরে শহীদ হাসান চত্বরে জাতীয়পার্টি চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের পুশপত্তলিকায় আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে মিছিলসহকারে কোর্টমোড়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা পৌর ১৮ দলীয় জোটের পৌর আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম মনি। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল হালিম হিরু, জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক রউফুন নাহার রীনা, দফতর সম্পাদক আবু আলা সামছুজ্জামান, পৌর আমির মফিজ উদ্দিন, সদর উপজেলার যুগ্মআহ্বায়ক আব্দুর রউফ, জামায়াত নেতা খাইরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর শুরা সদস্য অ্যাড. আসাদুজ্জামান, পৌর জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদ পারভেজ রাসেল, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খালিদ মাহমুদ, সদস্য সচিব সাইফুর রশিদ ঝন্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাজি আব্দুল মান্নান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক শাহাজাহান খান, ইসলামী ছাত্রশিবির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, পৌর দফতর সম্পাদক ইয়াছিন হাসান কাকন, পৌর প্রচার সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনু, আলুকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইবাদত হোসেন, জেলা তরুণদলের আহ্বায়ক মাবুদ সরকার, জেলা ওলামাদলের আহ্বায়ক মাও. আনোয়ার হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্মআহ্বায়ক হাবিবুর রহমান শেখন, দামুড়হুদা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমান বাচ্চু, যুগ্মআহ্বায়ক আনিস, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক হাজি রবিউল হক মল্লিক, যুগ্মআহ্বায়ক মমিন, লাল্টু খান। বক্তারা সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন অবিলম্বে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠনের মধ্যদিয়ে দেশে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করুন। নতুবা ১৮ দলীয় জোট বাংলার জনগণকে সাথে নিয়ে এক দলীয় প্রহসনের নির্বাচন প্রতিহত করবে। এছাড়া পৌর বিএনপির ব্যানারেও বিক্ষোভ মিছিল করা হয় বলে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে লে. কর্নেল (অবঃ) সৈয়দ কামরুজ্জামান সমর্থকরা। শুক্রবার সকাল ১১টায় শহরের পান্না সিনেমা হল সংলগ্ন জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করে তারা। মিছিলটির নেতৃত্ব দেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা বিএনপি নেতা লে. কর্নেল (অবঃ) সৈয়দ কামরুজ্জামান। মিছিলটি সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে শহরের কয়েকটি স্থান প্রদক্ষিণ করে। পরে তারা শহরের ব্যস্ততম শহীদ হাসান চত্বরে সমাবেশ করে। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক অ্যাড. আব্দুল ওহাব মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে লে. কর্নেল (অবঃ) সৈয়দ কামরুজ্জামান বলেন, সরকার একটি সাজানো নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য লোক দেখানো সর্বদলীয় সরকারের নামে মহাজোট সরকারের মন্ত্রীসভা পুনর্গঠন করেছে। বাংলার মাটিতে বিএনপিকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন করতে দেয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, যতো ষড়যন্ত্রই করুন না কেন বাংলার মানুষ তা প্রতিহত করবে। সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে নবগঠিত মন্ত্রীসভা ভেঙে দেয়ারও পরামর্শ দেন। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি এমবিএম হাসান হাসু, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলী হোসেন, সহপ্রচার সম্পাদক রেজাউল করিম মুকুট, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর জব্বার সোনা, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি মহাসিন আলী বিশ্বাস, যুবদল নেতা মফিজুর রহমান মনা, মনিরুজ্জামান লিপটন, শরিফুল আলম বিলাস ও তানজিল আহম্মেদ।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কোর্টমোড়স্থ ১ নং পানির ট্যাংক সংলগ্ন দলীয় কার্যালয় থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা মৎস্যজীবীদলের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বকুলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক আইনুর হোসেন পচা। প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হবি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপি নেতা আরশেদ আলী কালু, জেলা তৃনমূল দলের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, জেলা মৎসজীবী দলের সাধরণ সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম ওহিদ, জেলা কৃষকদলের সভাপতি হামিদুল হক নেতাজীর, পৌর বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আলমডাঙ্গা থানা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান, তৃনমূল দলের আহ্বায়ক শামিম আল মামুন প্রিন্স, যুগ্মসম্পাদক আশরাফুল আলম, ২ নং ওয়ার্ড সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক পিন্টু মিয়া, ৮ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দীন, ৩ নং ওয়ার্ডে সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবলুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আলিফ উদ্দিন রোড মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসরাফ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ সরকার বিএনপিকে বাদ দিয়ে একদলীয় নির্বাচন করতে চায়। বিএনপি তথা ১৮ দলীয় ঐক্যজোটের নেতাকর্মীরা জীবন দিয়ে হলেও একদলীয় নির্বাচন প্রতিহত করবে। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা জামায়াতের আমির নুর মোহাম্মদ টিপু, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান পিন্টু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এমদাদুল হক ডাবু, উপজেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ইউপি চেয়ারম্যান দারুস সালাম ও বিএনপি নেতা রেজাউল করিম। উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন বিল্লাল হোসেন, শামসুল আরেফীন, আব্দুস সোবহান, মহিনুল ইসলাম, আলী হোসেন, আমজাদ হোসেন, ডা. আব্দুল লতিফ, শহিদুজ্জামান মিল্টন, আব্দুল কাদের, মানোয়ার হোসেন, জামিরুল ইসলাম, শওকত খান, আশরাফুল আলম, সেলিম রেজা, শওকত আলী, ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান হাসান, হাজি মুসা হক, একরামূল হক বুলু, হাফিজুর রহমান চমক, জিল্লুর রহমান, শফিকুল প্রমুখ।
দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে, দামুড়হুদায় ১৮ দলীয় ঐক্যজোট বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টায় দামুড়হুদা ব্রিজমোড় থেকে ১৮ দলীয় সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী শাহ’র নেতৃত্বে মিছিলটি বাসস্ট্যান্ড ঘুরে ব্রিজমোড়ের আড়তপট্টিতে শেষ হয়। পরে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী শাহ, জামায়াতে ইসলামী জেলা সেক্রেটারি মাও. আজিজুর রহমান, থানা আমির নায়েব আলী, সেক্রেটারি আব্দুল গফুর, হাউলী জামায়াত আমির নজরুল ইসলাম, থানা বিএনপির সহসভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোকাররম হোসেন, সংগ্রাম কমিটির যুগ্মআহবায়ক যুবদল সেক্রেটারি রফিকুল হাসান তনু, সদর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আব্দুর রহমান মালিথা, সাবেক সেক্রেটারি একরামুল হক, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টু, অপরাংশের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, সহসভাপতি মহি উদ্দীন, সহসম্পাদক জুলফিকার আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আবুল কাশেম, সেক্রেটারি শামসুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ বিশ্বাস, নতিপোতা ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি, কামরুজ্জামান টুনু, সেক্রেটারি শামসুল আলম মেম্বার প্রমুখ।
গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ৫ বছর দেশ জেলখানায় পরিণত হয়েছে। সর্বদলীয় নির্বাচন দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা যাবে না বিধায় এক দলীয় নির্বাচন করতে চাই। প্রধান বিরোধীদলকে নির্বাচনের বাইরে রাখতেই তারা সংবিধান সংশোধন করেছে। দেশের নব্বই ভাগ মানুষের প্রাণের দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বাকশাল কায়েম করতে চাইছে। দেশের বেশিরভাগ মানুষের দাবি উপেক্ষা করে যদি পাতানো নির্বাচন করা হয় তা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে রুখে দেয়া হবে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাংনী উপজেলার নওপাড়া বাজারে সমাবেশে তিনি একথাগুলো বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে নওপাড়া মোড় থেকে আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে নওপাড়া বাজারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুর রউফ মাস্টারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আখেরুজ্জামান, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আক্তারুজ্জামান, পৌর বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দাল হক, উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি কামরুল ইসলাম ও সুজন কবিরসহ বিএনপি-জামায়াত ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির একাংশের সহসভাপতি হাজি মোখলেসুর রহমান তরফদার টিপু সমর্থিত পক্ষ ও দর্শনা পৌর জামায়াত যৌথভাবে দর্শনা বাসস্ট্যান্ড চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহড়ের প্রধান সড়ক হয়ে পুরাতন বাজারে পৌঁছে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। দর্শনা পৌর বিএনপির একাংশের সভাপতি রহম আলীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত, দর্শনা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল ইসলাম খোকন, বিএনপি নেতা লুতফর রহমান, আব্দুল মান্নান, নজির আহম্মেদ, হান্নান মেম্বার, দর্শনা পৌর জামায়াতের আমির আ. কাদের, সেক্রেটারি গোলজার হোসেন, জামায়াত নেতা মাও. হাবিবুর রহমান, হাজি মোখলেসুর রহমান, আবু জার গেফারী, শিবির নেতা হাফেজ বেলাল, সাইফুল আলম অপু প্রমুখ। বিকেলে দর্শনা পুরাতন বাজার দর্শনা পৌর বিএনপির কার্যালয় থেকে (যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদ হাসান খান বাবু সমর্থিত পক্ষ) বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পুরাতন বাজার মোড়ে মিছিল শেষ করে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপি নেতা আহম্মদ আলীর সভাপতিত্বে সভায় আলোচনা করেন দর্শনা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, শ্রমিকদল নেতা সাবু তরফদার, বিএনপি নেতা আজিজুল হক, রেজাউল ইসলাম, যুবদল নেতা নাহারুল ইসলাম শিক্ষক, আবু সাঈদ, বদিয়ার মোল্লা, অপু সুলতান, শরীফ, ছাত্রদল নেতা জাহান আলী, টুটুল শাহ, হাসু প্রমুখ।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, শুক্রবার জীবননগর পৌর বিএনপি ও জামায়াত-শিবির পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। পৌর বিএনপির ব্যানারে মোজাম্মেল হক ও অহিদুল গ্রুপ এবং জামায়াত-শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল দুটি শহর ঘুরে দলীয় কার্যালয়ে ফিরে সমাবেশ করে। বিকেলে উপজেলা শহরের আখ সেন্টারের সম্মুখে অবস্থিত পৌর বিএনপির অফিস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। জেলা বিএনপির সহসভাপতি সাইদুর রহমান ধুন্দু, পৌর বিএনপি সভাপতি সাহজাহান কবীর ও সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন এবং উপজেলা বিএনপির একাংশ অহিদুল গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ শেষে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে উপরোক্ত নেতৃবৃন্দ ছাড়াও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হাসান, পৌর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা কাউন্সিলর নবী শাহ্, আহাম্মদ আলী, রবি সর্দ্দার, সানোয়ার হোসেন, আব্দুল অলিম, কিরাউদ্দিন, হাসান আলী, নজরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম রবু, রফিক, হাসানুজ্জামান ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন, বদর উদ্দিন বাদল, হাফিজুর রহমান, আমিনুল মেম্বার, রুপ মিয়া মেম্বার, সিরাজুল ইসলাম, আতিয়ার মেম্বার, বদে, সেলিম মেম্বার, আমিনুল, ডালিম, টোটন, শামীম, যুবদল নেতা মনির, হামিদ, আজমন, সাইদুর, আরিফ, ইছাহাক, আবুল, উপজেলা বিএনপির একাংশ অহিদুল বিশ্বাস ও টিপু দতরফদার গ্রুপের মধ্য থেকে আব্দুর রশিদ, জাফরউল্লাহ, মশিউর রহমান, নাসির, হাসান আলী, আয়তুল মেম্বার, শ্রমিক নেতা আব্দুস সামাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির খলিলুর রহমান ও সেক্রেটারি মাও. ইসরাইল হোসেনের নেতৃত্বে জামায়াত-শিবির বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামী উপজেলা শাখার আমির প্রভাষক খলিলুর রহমান, সেক্রেটারি মাও. ইসরাইল হোসেন, সহসেক্রেটারি ইব্রাহিম খলিল, পৌর আমির মাও. সাজেদুর রহমান, সেক্রেটারি গোলাম রসুল, উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি ফারুক হোসেন, পৌর সভাপতি ফিরোজ হোসেন প্রমুখ।
মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক এমপি বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে ১৮দলীয় জোট মেহেরপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় মিছিল শেষে মুজিবনগর সরকারি ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি নেতা আব্দুল কাদের মাস্টার। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক এমপি মাসুদ অরুন। বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাও. সিদ্দিকুর রহমান, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা ইলিয়াছ হোসেন, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাও. রুহুল আমীন, জামায়াতের মুজিবনগর উপজেলা আমির মশিউর রহমান, জামায়াতের মুজিবনগর উপজেলা সেক্রেটারি মাও. খান জাহান আলী, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন মোনাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মফিজদ্দিন মাস্টার, বিএনপি নেতা রুস্তম আলী, আব্দুল হামিদ মালিথা, আরজুল্লাহ মাস্টার বাবলু প্রমুখ।