স্টাফ রিপোর্টার: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের বিজ্ঞান অনুষদের (এ ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে গতকাল শুক্রবার আবারও সাত শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আটক শিক্ষার্থীরা হলেন মো. শফিকুল ইসলাম, সৈয়দ সৈকত হোসেন, রুমানুল ইসলাম, ফরহাদ কবির, সাদিয়া আক্তার, ফাহমিদা আক্তারসহ আরও একজন।
এদিকে আটক পরীক্ষার্থীদের ছেড়ে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা তত্পর বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে বিকেল ৪টার দিকে মুঠোফোনের খুদে বার্তায় উত্তরপত্রসহ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে দুজন, ঢাকা কলেজ থেকে দুজন, বোরহানউদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ থেকে একজন, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে একজনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ক্যাম্পাস থেকে আটক শিক্ষার্থীদের কোতোয়ালি থানায় ও বাকিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করা হয়েছে। আটক পরীক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, মুঠোফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমে উত্তরপত্র দিতে খোকন ও আনোয়ার নামের দুই ব্যক্তির সাথে এক লাখ টাকার চুক্তি করেছিলেন তিনি। চুক্তি অনুযায়ী পরীক্ষা চলাকালে বিকেল চারটার দিকে ০১৭৮৫৬১৪৪৯৯ নম্বর থেকে উত্তরপত্র পাঠানো হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, ১৫ নভেম্বর পরীক্ষার হলে হাতেনাতে মুঠোফোনে উত্তরপত্রসহ পরীক্ষার্থীদের আটক করা হলেও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ছেড়ে তাদের দেন। এ ছাড়া ঘটনার সাথে কারা জড়িত তা তদন্ত করছে না প্রশাসন। এর ফলে জালিয়াতি চক্রের তত্পরতা বেড়েই চলেছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অশোক কুমার সাহা বলেন, আটকৃত পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। ১৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের (সি ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষায় মুঠোফোনে উত্তরপত্রসহ ১১ জনকে আটক করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির কয়েকজন সদস্য ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলামের সুপারিশে চারজনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।