স্টাফ রিপোর্টার: মো. হাসানুজ্জামান। চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি সমামান পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ পাঁচ পাওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছে। দরিদ্রকে হার মানিয়ে চমক সৃষ্টি করলেও সামনে চরম অনিশ্চয়তার অন্ধকার। বাড়ির সকলেরই প্রশ্ন- অভাব কি ওর স্বপ্ন পূরণ হতে দেবে?
চুয়াডাঙ্গা জাফরপুর স্টেডিয়ামপাড়ার হতদরিদ্র বাদাম বিক্রেতা পিতা ঝড়– শেখের ছেলে মো. হাসানুজ্জামান। ৪ ভাইবোনের মধ্যে সে একজন। ছোটবেলা থেকেই তাকে সংগ্রাম করে লেখাপড়া শিখতে হচ্ছে। অভাবের সংসারে অনিশ্চয়তার দিন গুনতেই যার সময় যাওয়ার কথা, সেই হাসানুজ্জামান লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে খেয়ে না খেয়ে। নূরনগর-জাফরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়ায় হাতে খড়ি। প্রাথমিক সমাপনীর পর এমএ বারী মাধ্যমিক থেকে জেএসসি। এরপর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি। এখান থেকে জিপিএ-৫? অনেকেরই চোখ চড়কগাছ।
মো. হাসানুজ্জামান সীমানা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাযহারুল ইসলাম পান্নার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, বহু প্রতিকূলতা পেরিয়ে সামনের দিকে যাওয়ার যুদ্ধ করে এবার এসএসসি সমমানের পরীক্ষাটা ভালোই দিয়েছিলাম। রেজাল্টও ভালো হয়েছে। কিন্তু এখন? অর্থাভাবে কি লেখাপড়াটা চালিয়ে নিতে পারবো? সে জন্যই দরকার শিক্ষানুরাগী হৃদয়বানদের সহযোগিত।