মাথাভাঙ্গা মনিটর: কথায় কথায় পরমাণু হামলার হুমকি দেন। আন্তর্জাতিক নিয়ম উপেক্ষা করে পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটান। তেমন কোনো আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে চান না। এহেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উন এবার পরমাণু যুদ্ধ এড়াতে আসিয়ান (দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ১০ রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জোট ASEAN) এর দ্বারস্থ হলেন। তার লক্ষ্য যে করেই হোক কোরিয় উপদ্বীপ অঞ্চলে প্রবল পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা বন্ধ করা। কোরিয় উপদ্বীপ ঘিরে যুদ্ধের ঘনঘটায় চাঞ্চল্যকর মোড় দিয়েছে একটি চিঠি। পরমাণু যুদ্ধের ভয়াবহতা রুখতে আসিয়ান গোষ্ঠীর হস্তক্ষেপ চেয়েছে উত্তর কোরিয়া সরকার। একনায়ক শাসক কিম জং উনের তরফে আসিয়ান-কে পাঠানো হয়েছে সেই চিঠি। আসিয়ান প্রধান লে লুয়ং মিনের কাছে এই চিঠি লিখেছেন উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী রি ইয়ং হো। তার দাবি, নীতি কোরিয় উপদ্বীপকে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। যার ফলে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া প্রবল পারমাণবিক মহাপ্রলয়ের মুখে দাঁড়িয়ে। উত্তর কোরিয়ার আরো অভিযোগ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বার্ষিক সেনা মহড়া কোরিয় উপদ্বীপের পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তুলেছে। এই চিঠির খবর ছড়িয়ে পড়তেই আন্তর্জাতিক মহলের প্রশ্ন, ঝুঁকছেন নাকি উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উন? কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ার, কূটনৈতিক প্রশ্নে কোরিয়াকে নমনীয় করতে না পারলে প্রবল সংঘাত হবে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ১০ রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জোট দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতি সংস্থা (Association of Southeast Asian Nations) বা আসিয়ান নামে পরিচিত। এর সদস্য দেশ- ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার, এবং ভিয়েতনাম।