গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এক জেএসসি (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট) পরীক্ষার্থীকে উত্যক্ত করায় আলামিন হোসেন জনি (১৫) নামের এক ছাত্রের ১ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সালাম এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। জনি গাংনী শহরের চৌগাছা গ্রামের মিনারুল ইসলামের ছেলে এবং গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এ বছর জেএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতসূত্রে জানা গেছে, দুপুর পৌনে ২টার দিকে ওই কেন্দ্রে জেএসসি পরীক্ষা শুরুর আগে জনি ১৬ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করে। উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের সামনেই সে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। এর কয়েকদিন আগে থেকেই সে ছাত্রীকে উত্যক্ত করে আসছিলো। এ সময় শিক্ষক ছাত্রদের সহায়তায় পুলিশ তাকে আটক করে। দণ্ডবিধির ৫০৯ ধারায় তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বলে জানান ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক আব্দুস সালাম। আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে গতকালই তাকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আলম।
এদিকে গতকাল ভ্রাম্যামাণ আদালত চলাকালে স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন অভিযোগ করেন। এ সময় সেখানে উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ শিক্ষক, সাংবাদিক ও কয়েকজন অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন। অভিভাবকদের অভিযোগ, শহরের বাইরের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ছাত্রীরা জেএসসি পরীক্ষা দিতে আসছে। পরীক্ষা শুরুর আগে ও পরীক্ষা শেষে স্কুলের গেটের সামনে কয়েকজন চিহ্নিত বখাকে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছে। পথে-ঘাটেও তাদের উত্ত্যক্তের ঘটনায় অভিভাবকমহল উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এ বিষয়টি নিরসনে সমাজে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তবে এ ধরনের ঘটনায় আইনের কঠোর প্রয়োগে ঘোষণা দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি আরো বলেন, উত্ত্যক্ত কিংবা ইভটিজিং যেকোনো ঘটনায় বখাটেদের শাস্তি দিতে প্রস্তুত রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।