মাথাভাঙ্গা মনিটর: অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে গলফের বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়ে একটি লক্ষ্য পূরণ হয়েছে বাংলাদেশের সেরা গলফার মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমানের। তার আগের দিনই অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, পরের লক্ষ্য ২০১৬ সালের অলিম্পিকে সুযোগ করে নেয়ার কথা। আর এভাবে খেলতে থাকলে এ লক্ষ্য থাকবে ধরাছোঁয়ার মধ্যেই। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্বসেরাদের সাথে খেলতে নামার আগের দিন ২৯তম জন্মদিন পালন করেছেন সিদ্দিকুর। এ রয়াল মেলবোর্ন গলফ ক্লাবেই গত সপ্তায় আরেকটি টুর্নামেন্টে খেলেছেন তিনি। তবে বাংলাদেশের সেরা গলফার জানালেন, এবার গলফ কোর্সটির সবুজ গালিচায় হাঁটাটা উপভোগ করবেন তিনি। কারণ, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপ খেলতে পেরে তিনি গর্বিত।
আমি ফেইসবুক ও ই-মেইলে আমার ভক্ত ও বন্ধুদের অনেক বার্তা পেয়েছি। তারা আমাকে ভালো খেলতে উৎসাহ যুগিয়েছে। ১৯০০ ও ১৯০৪ সালে অলিম্পিকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় আসরের পর বাদ পড়েছিলো গলফ। আবার ২০১৬ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো অলিম্পিকে গলফকে ফেরানোর সিদ্ধান্ত ২০০৯ সালে যখন নেয়া হয়, তখন সিদ্দিকুর একটু একটু করে ওঠে আসছেন বিশ্ব আসরে। এখন বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া সিদ্দিকুর আশা করতেই পারেন ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানোর। কারণ অলিম্পিকের বাছাই প্রক্রিয়া প্রায় বিশ্বকাপের মতোই।
ঢাকার কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে বলবয় হিসেবে যাত্রা শুরু করা সিদ্দিকুর এরই মধ্যে জিতে নিয়েছেন এশিয়ান ট্যুরের দুটি শিরোপা। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় এশিয়ান ট্যুর শিরোপা (ইন্ডিয়ান ওপেন, প্রথমে জিতেছিলেন ব্রুনাই ওপেন) জিতে সিদ্দিকুর পেয়েছেন দুই লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার। এ বছরে তার মোট আয় প্রায় সাড়ে চার লাখ মার্কিন ডলার। বড় অঙ্কের এই প্রাইজমানিতে এশিয়ান ট্যুর অর্ডার অব মেরিটে সিদ্দিকুর উঠে এসেছেন তিন নম্বরে। এ বছর নিশ্চিতভাবেই শীর্ষ দশের মধ্যে থাকবেন তিনি, যা হবে চার বছরের মধ্যে তৃতীয়বার। এ পর্যায়ে উঠে আসা নিয়ে সিদ্দিকুর বলেন, “সত্যি কথা বলতে কি, আমি এশিয়ান ট্যুরে একজন ভালো পেশাদার গলফার হতে পারবো বা বিশ্বকাপ বা অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পাব, তা কখনই ভাবিনি। এটা আমাদের স্বপ্নের মধ্যেও ছিল না। কিন্তু এখন স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। প্রথমবারের মতো আমি বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছি।