গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : তিস্তার পানি কেউ আটকে রাখতে পারবে না
স্টাফ রিপোর্টার: ভারতের সাথে সই হওয়া প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) সমালোচনাকারীদের কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে ভারত সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ জবাব দেন। প্রতিরক্ষা সমঝোতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত মিত্রবাহিনী হিসেবে আমাদের সহযোগিতা করেছে। ভারতের সেনাবাহিনী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে। বন্ধুপ্রতিম এদেশের সাথে এমওইউ করলে প্রশ্ন কেন? শেখ হাসিনা বলেন, যাদের সঙ্গে আমরা যুদ্ধ করলাম, যারা আমাদের বিরোধিতা করলো- তাদের সঙ্গে সামরিক চুক্তি নিয়ে কথা নেই। কিন্তু যারা মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করল তাদের সাথে এমওইউ (সমঝোতা স্মারক) করা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।’
তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিস্বার্থ নিয়ে রাজনীতি করি না। দেশের মর্যাদা আমার কাছে অনেক বড়। যেখানে আমি আছি, তাতে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কোনোকিছু আমি বেঁচে থাকতে হবে না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিফেন্স চুক্তির ব্যাপারে আমি এটুকু বলব, এটা আমরা আর একটা এমওইউ স্বাক্ষর করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা কাঠামো সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি। এখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা করব।’ এর মধ্যে যেসব বিষয় রয়েছে তাও সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তা হলো- বিভিন্ন কাঠামোগত সহযোগিতা, দুই দেশের সামরিক সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও আলোচনাসভা, মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের স্মৃতি সংবলিত অনুষ্ঠান উদযাপন, দুই দেশের সামরিক প্রশিক্ষক ও পর্যবেক্ষক বিনিময়, সামরিক সরঞ্জমাদি সংরক্ষণে পারস্পরিক সহযোগিতা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমবিষয়ক পর্যবেক্ষণ, ক্রীড়া ও দুঃসাহসিক অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা, দুর্যোগ ও ত্রাণবিষয়ক প্রশিক্ষণ, চিকিৎসা সহযোগিতা, স্টাফ পর্যায়ে বার্ষিক আলোচনা, দু’দেশের নৌবাহিনীর জাহাজ ও বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজের সফর বিনিময় এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা সংবলিত টহল ও অনুশীলন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে বেলারুশ, চীন, ফ্রান্স, কুয়েত, রাশিয়া এবং তুরস্কের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি রয়েছে।
অন্যদিকে ১৩টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সমঝোতা ও চুক্তি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি। এসব দেশ হলো- বাহরাইন, চেক প্রজাতন্ত্র, ইতালি, কাতার, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ফিলিস্তিন, ফিলিপাইন, সার্বিয়া, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, একটা কথা মনে রাখতে হবে- আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে ভারতের সামরিক বাহিনীর অবদান রয়েছে। তাদের অনেকে জীবন দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন স্বাধীন দেশ। আমাদের দেশের তুলনায় আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী যথেষ্ট শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলছি। তারপরও কিন্তু জ্ঞানের শেষ নেই, শিক্ষার শেষ নেই, প্রশিক্ষণের শেষ নেই। সেদিক লক্ষ রেখে আমরা বিভিন্ন কাঠামোগত সহযোগিতার জন্য এমওইউ করেছি।’
ভারতের কাছ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের লাইন অব ক্রেডিট দিয়ে সামরিক সরঞ্জাম কেনার ব্যাপারে বাংলাদেশের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সার্বিক স্বার্থ বজায় রেখেই সব করা হবে। কোন দেশ থেকে কী কিনব তা নিয়ে কোনো বাইন্ডিংস (ধরাবাঁধা নিয়ম) নেই।’ প্রতিরক্ষা এমওইউর সমালোচনার ব্যাপারে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা সন্দেহ করছেন, নানা কথা বলছেন তারা বলবেনই। তাদের চরিত্র আমার জানা আছে। কিন্তু একটা কথা মনে রাখতে হবে- যেখানে আমি আছি, তাতে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কোনোকিছু আমি বেঁচে থাকতে হবে না।’ ভারত সফরে ৩৫টি চুক্তি ও এমওইউ সই হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে ১১টি চুক্তি ও ২৪টি সমঝোতা স্মারক। দু’দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত নয় বিলিয়ন (নয়শ’ কোটি) ডলারের ১৩টি চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারকও এগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
তিস্তার পানি কেউ আটকাতে পারবে না: এদিকে তিস্তার পানি আসবেই, পানি কেউ আটকে রাখতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, তার ভারত সফর সবদিক দিয়েই সফল হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল এই সংবাদ সম্মেলন সরাসরি সম্প্রচার করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিস্তার পানি নিয়ে এখন অনেকেই কথা বলেন; কিন্তু ভারত যখন গজলডোবায় বাঁধ দিলো, তখন যারা ক্ষমতায় ছিল, তখন তো কেউ কথা বলেনি। পরে ওই নদীতে আমরা ব্যারাজ করলাম। এটাও ভুল ছিল। এর ফল এখন পাচ্ছি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ ছাড়াও অনেক সরকার এসেছে। অন্যরা কেউ তিস্তার পানি নিয়ে টুঁ শব্দ করেননি। তিস্তার পানি বণ্টনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য কি না, এ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমিও বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছি। তাকে বলেছি, অন্য নদীর পানি তারা নিজেরা নিয়ে তিস্তার পানি আমাদের দিন। এটা নিয়ে আলোচনা চলবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আলোচনা করছি। তিস্তা চুক্তি নিয়ে মমতা কিন্তু একেবারে না করেননি। আশপাশের নদীগুলো সংযোগ করে এটা করার কথা বলেছেন। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তিস্তা চুক্তি হবেই। তিনি (মোদি) ও আমি ক্ষমতায় থাকতে এটা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে ভারত সফর সবদিক দিয়ে ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সফরটা ফলপ্রসূ হয়েছে, সম্পূর্ণ তৃপ্তির। ভৌগোলিক সীমারেখা বা জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশ কম হতে পারে। কিন্তু সার্বভৌমত্বের দিক দিয়ে সমান-সমান। এই সম্মানটা বাংলাদেশের। এখানে হতাশার কিছু নেই। আমি যে সিদ্ধান্ত নিই, তা দৃঢ়চেতা হয়েই নিই। আমার লক্ষ্য ছিল আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তোলা, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা।’
আরেক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে, সেগুলো নিয়ে লুকোছাপার কিছু নেই। তিনি বলেন, ‘আমি যতক্ষণ আছি, বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কিছু হবে না।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার বাস্তবঘনিষ্ঠ উদ্ভাবনমুখী অর্থনীতি গড়ে তুলতে চায়, যা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে। আমি নিশ্চিত একসঙ্গে কাজ করলে, এ অঞ্চলের মানুষের জীবন আমরা বদলে দিতে পারব। ‘বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিশেষ তাৎপর্য বহন করে এবং বর্তমানে তা এক বিশেষ উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। সামগ্রিকভাবে এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন গতির সঞ্চার হয়েছে। পারস্পরিক সহযোগিতা-বিশ্বস্ততা-বন্ধুত্বের বহুমুখী সম্পর্ক এই সফরের মাধ্যমে আরও সুসংহত হয়েছে।’
শেষ হাসিনা সোমবার নয়াদিলি্লতে ‘ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত সংবর্ধনার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমি বাংলাদেশ যে সার্বভৌম দেশ, তা দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করি এবং একইসঙ্গে বাংলাদেশ যে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত, তা উল্লেখ করি। আমি আরও বলি যে, বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্ব অত্যন্ত সুদৃঢ় এবং বিবাদের মাধ্যমে কোনোকিছু অর্জন সম্ভব নয় বলে মতপ্রকাশ করি।’ গত শুক্রবার চারদিনের সফরে ভারত যান শেখ হাসিনা। মোদী জমানায় এটাই ছিল তার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। গত শুক্রবার দিলি্ল পৌঁছেন তিনি। সফরের প্রটোকল ভেঙে বিমানবন্দরে হাজির হয়ে চমক দেখান মোদি। সফরে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকেন হাসিনা। এই সফরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভারতীয় সেনাদের সম্মাননাও জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় ভারত সফরের সব কর্মসূচি তুলে ধরেন। ২০১৮ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানোর কথাও বলেন শেখ হাসিনা। সফর নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ফের পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে ভারতের সঙ্গে চুক্তি করে এসেছেন শেখ হাসিনা। বাম দল সিপিবি বলেছে, ভারতের সব চাওয়ার বাস্তবায়ন হলেও বাংলাদেশের চাওয়াগুলোর ক্ষেত্রে শুধু প্রতিশ্রুতি আসায় তা সরকারের দুর্বলতার চিত্র তুলে ধরেছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাসদসহ তাদের জোটসঙ্গীদের দাবি, শেখ হাসিনার এই সফর পুরোপুরি সফল হয়েছে। সফরের শেষ দিনে এক কর্মসূচিতে শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা চুক্তিকে ‘দেশ বিক্রি’ বলছে, তারা অর্বাচীন।
পাংশায় গঙ্গা ব্যারেজ হবে আত্মঘাতী: বাংলাদেশের পনিসম্পদ মন্ত্রণালয় সমীক্ষা করে রাজবাড়ীর পাংশায় গঙ্গা ব্যারাজের যে নকশা তৈরি করেছে, তা বাস্তবায়ন করা ‘আত্মঘাতী’ হবে বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর বদলে উজানে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে ‘রিজার্ভার’ তৈরি করে শুষ্ক মৌসুমে ব্যবহারের জন্য পানি সংরক্ষণের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। গঙ্গা ব্যারেজ নিয়ে এক প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় যে নকশা তৈরি করেছে তা পুরোপুরি ভুল। ওটা বাস্তাবয়ন করা ঠিক হবে না। এটা আত্মঘাতী হবে। তিস্তা ব্যারেজের মতোই আত্মঘাতী হবে।’ পদ্মায় বাঁধ দিয়ে গঙ্গা অববাহিকার পানি সংরক্ষণ করে তা কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবহারের লক্ষ্যে ১৯৬২-৬৩ সালে প্রথমবারের মতো গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণের বিষয়ে জরিপ হয়। এরপর দীর্ঘদিন ঝুলে থাকলেও ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার সময়ে গঙ্গার পানিবণ্টনে ভারতের সঙ্গে চুক্তির পর ব্যারেজ নির্মাণের আলোচনা আবার জোর পায়। ওই ব্যারাজের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ২০০৫ সালে কাজ শুরুর পর ২০১৩ সালে সমীক্ষার কাজ শেষ হয়। পরের বছর ভারতকে ওই প্রকল্পের সারসংক্ষেপও হস্তান্তর করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সে সময় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ২০২৬ সালে গঙ্গার পানিবণ্টন নিয়ে ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগেই ব্যারেজ নির্মাণের কাজ শেষ না হলে নতুন চুক্তির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তির সময় আমি বলেছিলাম, ব্যারেজ একসঙ্গে করব, যাতে সবাই ব্যবহার করতে পারে। এটা ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে করতে হবে এবং খরচও ভারত দেবে।’ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যারা ওই পাংশায় ব্যারেজের নকশা করেছেন, তাদের সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, প্রকল্প নিলে টাকা আসবে এবং সেখানে লাভের আশা থাকবে- এটাই অনেকের চিন্তা থাকে। ওই নকশা ‘পছন্দ হয়নি’ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে, রিজার্ভার যদি করা যায়, যাতে দুই দেশ শুষ্ক মৌসুমে তা ব্যবহার করতে পারে।’