আলমডাঙ্গা পশুহাটে জালটাকা দিয়ে গরু কেনার সময় হাতে নাতে আটক

গরুক্রেতা দু প্রতারক পাকড়াও : ৪৯ হাজার টাকা জাল নোট উদ্ধার

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা পশুহাটে জালটাকা দিয়ে গরু কিনে সটকানোর আগেই হাতে নাতে ধরা পড়েছে দু প্রতারক। এদের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪৯ হাজার টাকার জাল নোট। উদ্ধারকৃত জালনোটের মধ্যে রয়েছে ৩৮টি এক হাজার টাকা ও ২২টি ৫শ টাকার নোট।

আটকৃত দুজন কুষ্টিয়া মীরপুরের পুরাতন আজমপুরের জমির উদ্দীনের ছেলে সাদ্দাম (২২) ও একই গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে মনিরুল (৩০)। দুজনকেই আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। পুলিশ জালটাকাকারবারী চক্রের সদস্য হিসেবে দুজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুজন বলেছে, জাল টাকাগুলো তাদেরকে মীরপুর আমলা সদরপুরের গড়গড়িয়ার শাহিন ব্যাপারী দিয়েছে। শাহিন গরুর ব্যবসা করে। পুলিশ এ তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের পাশাপাশি শাহিন ব্যাপারীকেও আইনের আওতায় নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার অনুপনগরের নূরুল ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম একটি গরু বিক্রির জন্য গতকাল দুপুরে আলমডাঙ্গার পশুহাটে তোলে। বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে ১৭ হাজার টাকায় সাদ্দাম ও মনিরুল গরুটি কিনে নেয়। বিক্রেতা টাকা নিয়ে হাট অফিসে খাজনা দেয়ার পাশাপাশি টাকা যাচাই করতে গেলে জাল টাকার বিষয়টি ধরা পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে ক্রেতা সাদ্দাম ও মনিরুল সটকে পড়ার চেষ্টা করে। হাটের ইজারাদারসহ সংশ্লিষ্টরা দুজনকে আটক করে। এদের নিকট পাওয়া যায় আরো জাল টাকার নোট। পুলিশে খবর দেয়া হয়। আলমডাঙ্গা থানার এসআই পিয়ার আলী ঘণ্টাখানেকের মাথায় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পশুহাটে হাজির হন। জাল টাকাসহ দুজনকে গ্রেফতার করে থানায় নেন।

পুলিশ বলেছে, জালটাকা কারবারীচক্রের হোতাদের ধরতে জোর জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।