গাংনীতে তামাকক্ষেতের পাশে নারী শিক্ষককে নিয়ে অবস্থান : অবশেষে……….

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীতে সহকর্মী নারী শিক্ষকের সাথে মাঠের মধ্যে সন্দেহজনক অবস্থানের কারণে এলাকায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার বিকেলে কড়ুইগাছি গ্রামের একটি তামাকক্ষেতে। নুরুল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করে। সতর্ক করে তাকে ছেড়ে দিলেও এলাকায় বইছে সমালোচনার ঝড়।

জানা গেছে, গাংনীর মিনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাংনী হাসপাতাল পাড়ার জেবুন নেছার সাথে পার্শ্ববর্তী কামারখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পূর্বমালসাদহ গ্রামের নুরুল আমিন গতকাল বিকেলে কড়ুইগাছি গ্রামের সড়কের ধারে তামাকক্ষেতের পাশে বসে ছিলেন। আগন্তুকরা সেখানে কি করছে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। বিদ্যালয় থেকে যে পথে গাংনীতে বাসার উদ্দেশে যাওয়ার কথা তার ভিন্ন পথে কেন তারা এলেন তা নিয়ে চলছিলো কানাকানি। তাছাড়া তাদের কাছে ছিলো ব্যাগ। অনেকটাই ঘনিষ্ঠ অবস্থায় বসে গল্প করছিলেন তারা। ভিন্ন এলাকার দুজন নারী-পুরুষ এভাবে দেখে এলাকার মানুষ প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নেয়। ঘটনাস্থলের আশপাশে কিছু উৎসুক মানুষের ভিড় হলেও সেদিকে নজর ছিলো না দুই শিক্ষকের। তবে এলাকার মানুষ বিষয়টি পুলিশকে জানালে তাদের আটক করে এলাঙ্গি পুলিশ ক্যাম্পের একটি দল। এলাঙ্গি পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ আবু জাফর জানান, সন্দেহজনকভাবে অবস্থানের কারণে এলাকার মানুষ পুলিশে খবর দেয়। তবে সেখানে গিয়ে আপত্তিকর তেমন কিছু নজরে পড়েনি। এ কারণে জেবুন নেছাকে তার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে নুরুল আমিনকে থানায় প্রেরণ করা হয়। গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, এভাবে নারী-পুরুষ বসে থাকলে অবশ্যই এলাকার মানুষের সন্দেহ হবেই। তাছাড়া তারা তো শিক্ষক। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নুরুল আমিন জানায় বিভাগীয় প্রশিক্ষণের বিষয়ে আলোচনা করছিলাম। চলাফেরা ঠিক করতে সতর্ক করে নুরুল আমিনকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে এখানেই ঘটনার শেষ নয়। নুরুল আমিন যখন থানা হেফাজতে ছিলেন তখন সেখানে ছুটে যান জেবুন নেছা। এ নিয়ে মুখরোচক আলোচনা সৃষ্টি হয়। প্রেমের টানে নাকি অন্য কোনো টানে তিনি থানায় ছুটে গেছেন তা অবশ্য জানতে পারেনি পুলিশ।  এ বিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলেও দুই শিক্ষকের মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে গতকালের এ ঘটনায় শিক্ষক মহল থেকে শুরু করে সচেতন মহলে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। প্রশিক্ষণের বিষয়ে আলোচনা করতে বিদ্যালয় থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরের মাঠের মধ্যে তারা কেন গিয়েছিলেন? তাছাড়া ফাঁকা মাঠের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে দুজনের বসে থাকার বিষয়টি মুখরোচক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। শিক্ষক নুরুল আমিন বিবাহিত হলেও জেবুন নেছা অবিবাহিতা। এসব বিষয়ও ঘুরে ফিরে আলোচনায় ফিরে আসছে। শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক মুছতে এই দুইজনের বিষয়ে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণে শিক্ষা অফিসের দৃষ্টি কামনা করেছেন খোদ শিক্ষক মহল। তাদের দ্বারা বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা কি শিখবে সে প্রশ্ন এখন সময়ের দাবি।

Leave a comment