স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদরের কৃষ্ণপুর বোয়ালমারীপাড়ায় পুলিশের সোর্স সন্দেহে যুবলীগ নেতা আবুবক্করের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বলে গ্রাম্য মাতবর নেকবার গঙের অভিযোগ উঠেছে। প্রাণ বাঁচাতে দোকানে লুকিয়েও রেহায় পাননি বাক্কা। মহিলাসহ ৫ জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে নেকবার গং। দোকান লুটপাট ও ভাঙচুরেরও অভিযোগ উঠেছে নেকবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বাক্কা ৭ জনকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা ও গ্রামসূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর সুবোধপুর পাড়ার বানাত আলীর ছেলে গ্রাম্য মাতবর নেকবার আলী হাসানের দোকানে বসে তাস খেলছিলেন। এ সময় হিজলগাড়ি ক্যাম্প পুলিশর সদস্যরা তাস খেলা অবস্থায় মাতবর নেকবার আলীসহ কয়েকজনকে হাতেনাতে ধরে। এ নিয়ে পুলিশ ও গ্রামের কয়েকজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায় পুলিশ মাতবর নেকবারসহ অন্যদের ছেড়ে দেয়। পুলিশকে খবর দেয়ার ব্যাপারে সোর্স হিসেবে কৃষ্ণপুর বোয়ালমারীপাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে ৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু বাক্কার দিকে সন্দেহের তীর ওঠে।
বাক্কা অভিযোগ করে বলেন, তারই জের ধরে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মাতবর নেকবার আলীর নেতৃত্বে আজমুল, আরিফুল, কাশেম, হাসান, বকুল, সুজন, নওশাদ, আনোয়ার হোসেন, রশাদসহ কয়েকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাক্কার ওপর হামলা চালায়। বাক্কা প্রাণ বাঁচাতে তার দোকানের মধ্যে আশ্রয় নিলে সেখানেও তাকে মারপিট করে। এ সময় বাক্কার মা সুফিয়া বেগম, স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, প্রতিবেশী রজব আলী ও নুরুনবী ঠেকাতে গেলে তাদের কেউ পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হামলাকারীররা। এ সময় দোকানে লুটপাট এবং দোকানের মালামালও তছরুপ করে হামলাকারীরা।
এদিকে আহতদের উদ্ধার করে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যান হিজলগাড়ি ক্যাম্প পুলিশ সদস্যরা। এ ঘটনায় বাক্কা বাদী হয়ে গতকালই চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নেকাবার আলীসহ ৭ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে সুবোধপুর ও বোয়ালমারী গ্রামের মধ্যে বিরাজ করছে উত্তেজনা। এ ব্যাপারে নেকবার আলীর সাথে মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।