ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে ২০০৫ সালে নির্মিত ২৫ শয্যার সরকারি শিশু হাসপাতালটি চালুর দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এই কর্মসূচির আয়োজন করে। মানববন্ধন কর্মসূচিতে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করে।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি একরামুল হক লিকুর সভাপতিত্বে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মানবাধিকার কর্মী আমিনুর রহমান টুকু, দৈনিক নবচিত্রের সম্পাদক আলাউদ্দীন আজাদ, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ সেলিম, গণশিল্পীর অধ্যাপক আব্দুস সালাম, মানবাধিকার কর্মী দিপ্তী রহমান, শরিফা খাতুন, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা রাজু আহম্মেদ মিজান, নাজিম উদ্দীন জুলিয়াস, শাহিনুর আলম লিটন, বাবুল আক্তার লাল, শামিম, ইছাহাক প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আশরাফুল আলম। অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন, একটি সরকারি হাসপাতাল আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে বছরের পর বছর বন্ধ থাকবে তা হতে পারে না। হাসপাতালের ভবন হস্তান্তরের ১১ বছর পরও বিষেশায়িত এই হাসপাতালটিতে কোনো জনবল নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি। বক্তাদের অভিযোগ, অর্থনৈতিক কোড না থাকায় গত ১৫ জানুয়ারি ১৮ জন নার্স যোগদান করেও তারা ফিরে গেছেন।
হাসপাতালের ৫ জন চিকিৎসক বেতন পাবেন না বলে যোগদান থেকে বিরত রয়েছেন। স্বতন্ত্র বেতন কোড সৃষ্টি না হওয়ায় হাসপাতালটি চালু হচ্ছে না। ফলে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বাড়ছে। হাসপাতালে মাত্র ৮টি শয্যার বিপরীতে ৭০-৮০ জন শিশু অমানবিকভাবে চিকিৎসা নিচ্ছে। সমাবেশে জাতীয় শিশু দিবসের আগেই ঝিনাইদহের শিশু হাসপাতালটি চালু করার দাবি জানানো হয়। না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দিয়ে দাবি আদায় করা হবে বলেও হুঁসিয়ারী উচ্চারণ করা হয়।