ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে মোটরসাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে দূরপাল্লার বাস খাদে পড়ে আহত হয়েছে অন্তত ২২ জন। ১৩ জনকে প্রথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহত বাকি ৯ জন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার ভেলা ২টার দিকে খুলনা থেকে মেহেরপুরের উদ্দেশে ৬২ জন যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসা আরএ পরিবহন ঝিনাইদহ সদরের পল্লী বিদুত নামক স্থানে পৌঁছুলে বাম পাশ থেকে আসা দুজন আরোহীসহ মোটরসাইকেলটি হঠাৎ আরএ পরিবহনটিকে অভারটেক করে পল্লী বিদুত আফিসের গেটের ভেতর প্রবেশ করতে চাইলে আরএ পরিবহনের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে রাস্তার ডান পাশের কড়াই গাছের সাথে ধাক্কা দেয়। পরে ড্রাইভারের স্ট্রারিংয়ে পা আটকিয়ে গেলে পুণরায় রাস্তার পাশের আরেকটি কড়াই গাছের সাথে ধাক্কা লেগে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে গিয়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়।
এ সময় আহত হয় খুলনার আমির হোসেনের ছেলে রুহুল আমিন (২৫), যশোর নোয়াপাড়ার মৃত ভক্ত দাশের ছেলে কার্তিক দাশ (৬০), যশোর দরবার শরিফ এলাকার ফরজ বিশ্বাসের ছেলে মন্টু (৩০), যশোর পরমান্দপুরের হেলাল গাজীর ছেলে আবুল হোসেন (৫০), আব্দুল করিমের ছেলে আব্দুল আলিম (৪২), ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের আওলাদ হোসেনের ছেলে রাব্বি হোসেন (৩), ঝিনাইদহ শহরের বানিয়াকান্দরের খোদা বক্সের ছেলে কামাল বক্স (৩২), যশোর পরমান্দপুরের আরিফুল ইসলামের স্ত্রী তামান্না (১৮), সাতক্ষীরা তালার বালিয়াডাঙ্গার আনছার গাজীর ছেলে রুহুল আমিন গাজি (৩৮), একই স্থানের উত্তম কুমারের ছেলে পটু (৪৫), মোটরসাইকেল চালক ঝিনাইদহ শহরের ছোট কামারকুণ্ডুর পান্টু (৩৫) ও মোটরসাইকেলের পিছনে থাকা ঝিনাইদহ শামান্তার জমির হোসেনের ছেলে আতিয়ার (৩০)। এ সময় স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক বিষ্ণু পদ আহত ১৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। পরে দমকল বাহিনী গুরুতর বাকি আহত ৯ জনকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
কর্তব্যরত ডাক্তার বলেন, তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে এবং তারা আশঙ্কামুক্ত। তবে মোটরসাইকেল চালক পান্টুর মাথায় প্রচণ্ড আঘাত লাগায় তিনি এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মোটরসাইকেল চালক পেছনে থাকা দ্রুতগামী গাড়িটিকে তোয়াক্কা না করেই হঠাৎ সিগনাল দিয়ে ডান পাশে ঝুঁকে গেলে পরিবহনের ড্রাইভার তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে নিয়ন্ত্রণ হরিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা আরও জানিয়েছেন, মোটরসাইকেলের পিছনে বসে থাকা আতিয়ার রহমান ঝিনাইদহের পল্লি বিদুত আফিসের স্টাফ। মোটরসাইকেল চালকের কোনো লাইসেন্স নেই বলেও স্থানীয়রা জানান।
এদিকে পল্লী বিদুত অফিসের সামনে চায়ের দোকান মালিক রুবেলসহ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর গাড়িতে থাকা ৮-১০ জনের ব্যাগ ব্যাগেজ ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের কাছে জমা রাখা আছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।