স্টাফ রিপোর্টার: দুটি মোটরসাইকেলের একটি হিরোহুন্ডা কোম্পানির সিবিজেড অপরটি বাজাজ কোম্পানির ডিসকভার। দুটি মোটরসাইকেলেরই রেজিস্ট্রেশন নম্বর লেখা রয়েছে এক। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে দীর্ঘদিন ধরে একই নম্বরের মোটরসাইকেল দুটি চলে কীভাবে? কোনটি আসল?
একই রেজিস্ট্রেশনের দুটি মোটরসাইকেলের মধ্যে বাজাজ ডিসকভার চালান চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের একজন চিকিৎসক। অপরটি একজন ডিম ব্যবসায়ীর। গতপরশু ডিমব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠান থেকে সিবিজেড ১৫০ সিসির মোটরসাইকেলের ছবি ক্যামেরা বন্দি করা হয়। অপরটির ছবি তোলা হয় চুয়াডাঙ্গা একাডেমী মোড়ের ফিলিং স্টেশন প্রাঙ্গণ থেকে। ওই এলাকাতেই নাকি চিকিৎসকের বাড়ি।
চুয়াডাঙ্গা-ল-১১-১২৮৫ নম্বর রেজিস্ট্রেশনের দুটি মোটরসাইকেল চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যেই চলাচল করে। অবাক হলেও সত্য যে, এতোদিন বিষয়টি না পড়েছে ট্রাফিক পুলিশের দৃষ্টিতে, না পড়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্য কোনো সংস্থার তেমন কোনো ওয়াশার চোখে। ডিম ব্যবসায়ীর বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের পলাশপাড়ায়। তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির ছবি নিতে গেলে তিনি রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র দেখানোর পাশাপাশি তিনি বিআরটিএ থেকে নেয়া প্রত্যয়নপত্রও সামনে মেলে ধরেন। তিনি বলেন, আমিও অবাক হয়েছি আমার রেজিস্ট্রেশন নম্বরের সাথে হুবহু মিল একজন চিকিৎসকের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন হয় কীভাবে? ভুলটা বিআরটিএ’র নাকি একজন চিকিৎসক হয়েও ভুয়া নম্বরের মোটরসাইকেল দিব্যি চালিয়ে বেড়াচ্ছেন? মোটরসাইকেলটির ছবি নেয়ার সময় সেখানে অবশ্য ওই চিকিৎসক ছিলেন না। ফলে তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি বলেই পরিচয় প্রকাশ করা হলো না।