মাথাভাঙ্গা মনিটর: রঙ্গনা হেরাথের বলে বোল্ড হয়ে শেষ হলো মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ইনিংসটা। ৮৫ রানে তিনি অবশ্য ফিরলেন বড় একটা আক্ষেপ নিয়েই। ১৫ রানের জন্য প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে টানা তিনটি সেঞ্চুরির কীর্তির দেখা পেলেন না তিনি। তবে আরেকটি রেকর্ড নিজের অধিকারে নিয়েছেন মুশফিক। হাবিবুল বাশারকে টপকে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে শতরানের জুটির সবচেয়ে বেশি অংশীদার তিনিই। উইকেটকিপিংয়ের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে এতোদিন দুর্দান্ত খেলেছেন ছয় নম্বরে। উইকেটকিপিং থেকে মুক্তি পেয়ে চার নম্বরে নেমে আজ আক্ষরিক অর্থেই নিজেকে দলের ব্যাটিংয়ের প্রাণভোমরা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করলেন। ২০১৭ সালের প্রথম তিন মাসে চার টেস্টের ৫ ইনিংসে তার রান ৪০৭। গড়? ১০১.৭৫। ৫টি ইনিংসই দেশের বাইরে হওয়ায় তার ব্যাটসম্যান-সত্তা অন্য মাত্রাই পাচ্ছে।
গত জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৯ ইনিংস পর সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মুশফিক। ১৫৯ রানের অনন্য এক ইনিংস খেলেছিলেন ওই টেস্টে। দ্বিতীয় ইনিংসে আহত হয়ে মাঠের বাইরে চলে যাওয়ার পর ক্রাইস্টচার্চের পরের টেস্টে মাঠের বাইরেই থাকতে হলো তাঁকে। ভারতের বিপক্ষে হায়দরাবাদ টেস্টে শুরু করলেন যেন ওয়েলিংটনের মুডেই। খেললেন ১২৭ রানের এক ইনিংস। গলে তৃতীয় সেঞ্চুরিটি হাতছানি দিলেও শেষ পর্যন্ত তার দেখা মুশফিক পেলেন না। মুশফিকের ৮৫ রানের সৌজন্যে ফলো অন বাঁচিয়েছে বাংলাদেশ। তবে ৩১২ রানে অলআউট হওয়ায় শ্রীলঙ্কা পেয়েছে ১৮২ রানের বড় এক লিড। ১৯২ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সপ্তম উইকেটে মুশফিক-মিরাজের ১০৬ রানের জুটির সুবাদে স্কোরটা তিন শর ঘরে নিয়ে যায় বাংলাদেশ। আর এতেই রেকর্ড বইয়ের একটি অধ্যায়ে নাম তোলেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক।
হাবিবুলের সঙ্গে মুশফিক ভাগাভাগি করছিলেন বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে শতরানের জুটির সবচেয়ে বেশি অংশীদার হওয়ার রেকর্ডটা। দুজনই ১৪ বার শতরানের জুটির অংশীদার ছিলেন। গলে হাবিবুলকে ছাড়িয়ে গেছেন মুশফিক। তাঁর এই ১৫টি শতরানের জুটিতে সর্বোচ্চ চারবার তাঁর সঙ্গী ছিলেন সাকিব আল হাসান। কদিন আগে ওয়েলিংটন টেস্টে সাকিবের সঙ্গেই গড়েছেন রেকর্ড ৩৫৯ রানের জুটি। মাহমুদউল্লাহ, নাসির ও আশরাফুলের সাথে মুশফিক শতরানের জুটি গড়েছেন দুবার। মিরাজ, নাঈম, মুমিনুল, মেহরাব জুনিয়র ও জুনায়েদের সাথে গড়েছেন একবার করে।শতরানের জুটির অংশীদার (বার) মুশফিকুর রহিম ১৫, হাবিবুল বাশার ১৪, সাকিব আল হাসান ১৩, তামিম ইকবাল ১২।