জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত নূর ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা’র অর্ধেক দাবি করেছেন সালেহার খাতুন। এ ব্যাপারে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তপূর্বক ভাতার ৫০ ভাগ টাকা প্রথম স্ত্রী আনোয়ার খাতুন ও অর্ধেক সালেহার খাতুনকে দেয়ার জন্য প্রতিবেদন দেয়া হলেও তিনি এখন পর্যন্ত তা থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এদিকে সালেহার খাতুনকে মুক্তিযোদ্ধা নূর ইসলাম মৃত্যুর পূর্বে তাকে মৌখিকভাবে তালাক দিয়ে গেছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। যে কারণে তিনি ভাতা পাচ্ছেন না বলে ওয়াকিবহাল সূত্রের ভাষ্য।
সালেহার খাতুনের অভিযোগ, দেশ স্বাধীনতার ৩ বছর পূর্বে গোয়ালপাড়া গ্রামের জলিল মণ্ডলের ছেলে নূর ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়। তার ঘরে একজন পুত্র সন্তান রয়েছে। নূর ইসলামের মৃত্যুর পর তার মাসিক সম্মানী ভাতার সমুদয় টাকা প্রথম স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন উত্তোলন করে আসছেন। গ্রামের কয়েক জন মুক্তিযোদ্ধার সুপারিশে আনোয়ারা খাতুন এ ভাতা’র টাকা পেয়ে আসছেন। তারা অপপ্রচার করে আসছে নূর ইসলাম তাকে তালাক দিয়েছিলো। তিনি তার অভিযোগে নূর ইসলাম কর্তৃক তালাক দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার না করলেও নূর ইসলাম তার স্বামী এবং তার একমাত্র সন্তান সুজা উদ্দিনের পিতা এ স্বপক্ষে বিভিন্ন কাগজপত্র প্রমাণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগের সাথে জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এখন তিনি চরম অসহায় ভাবে দিনানিপাত করছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করে স্বামীর মাসিক সম্মানী ভাতার অর্ধেক দাবি করছেন।