বেগমপুর প্রতিনিধি: সন্ধ্যারাতে হিজলগাড়ি বাজারের ওষুধব্যবসায়ী অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অপহরণকারীচক্রের সদস্যদের আটক ও অপহৃতকে উদ্ধারে পুলিশ-জনতা চারিদিক থেকে মাঠ-ঘাটে হন্যে হয়ে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে অপহরণকারীচক্র অপহৃত সেলিমকে ফেলে পালিয়েছে। ডিহি মাঠ থেকে উদ্ধারের পর সেলিম এরকমই তথ্য দিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ৬২ আড়িয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম ডাক্তারের ছেলে হিজলগাড়ি বাজারের মিলন ফার্মেসির সত্তাধিকারী মিলন ও সাংবাদিক সেলিম রেজা গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সেলিম রেজা হিজলগাড়ি-ছোটসলুয়া সড়কের হিজলগাড়ি গোরস্তান নামকস্থানে পৌঁছুলে অপহরণকারীচক্রের সশস্ত্র ৬-৭ জন মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সেলিম রেজাকে অপহরণ করার সময় পেছন থেকে দেখে ফেলেন বড়ভাই মিলন। এ সময় মিলন কৌশলে দ্রুত হিজলগাড়ি বাজারে ফিরে ঘটনার বর্ণনা দিলে ক্যাম্প পুলিশ ও জনতা জকার দিয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। মাঠ-ঘাট তন্নতন্ন করে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। ততোখনে সেলিমকে অপহরণকারীরা মাঠ দিয়ে প্রায় ৩ কি.মি টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যায়। হিজলগাড়ী ক্যাম্প পুলিশ-জনতার খোঁজাখুঁজির এতোটাই জোরদার ছিলো যা অপহরণকারীরা টের পেয়ে যায়। ফলে ঘটনার দেড়ঘণ্টা পর ডিহি মাঠে সেলিমকে ফেলে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
উদ্ধারের পর সেলিম ঘটনার বর্ণণা দিতে গিয়ে বলেছেন, শুধুমাত্র টাকার জন্য অপহরণ করেছিলো আমাকে। ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণের আশায় আমাকে অপহরণ করা হয়। পুলিশ ও এলাকাবাসীর ভূমিকায় রক্ষা পেয়েছি। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান সদর সার্কেল তরিকুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তোজাম্মেল হোসেন, তবে অপহরণকারীচক্রের সদস্যদের কাউকে চিনতে পারেননি সেলিম। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। সন্ধ্যা রাতে অপহরণের ঘটনায় গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে আঙ্কক।