আলমডাঙ্গা ব্যুরো: তারেক মাসুদ ও মিশুক মনির হত্যাকাণ্ডের রায়ের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের হরতালকে কেন্দ্র করে আলমডাঙ্গায় শ্রমিক ইউনিয়নের ২ গ্রুপের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ২ জন গুরুতর আহতসহ প্রায় ৪-৫ জন শ্রমিকনেতা আহত হয়েছেন। কতিপয় শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে ট্রাক ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠলে এ মারামারির সূত্রপাত ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা গেছে, তারেক মাসুদ ও মিশুক মনির হত্যাকাণ্ডের রায়ের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গাসহ আলমডাঙ্গায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। জেলা বাসট্রাক, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে এই ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। জেলা বাসট্রাক, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখা আলমডাঙ্গায় ধর্মঘট পালনে সহযোগিতা করছে। পূর্বের মতো গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কে তারা অবস্থান নিয়ে ওই রোডে বাসট্রাক চলতে বাঁধা সৃষ্টি করছিলো। একপর্যায়ে অভিযোগ উঠে ট্রাক ড্রাইভার মিলন টাকা নিয়ে ট্রাক ছেড়ে দিচ্ছে। এ ঘটনায় মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম রঞ্জু প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠেন। তিনি দুপুরে মিলনের টাকা নিয়ে ট্রাক ছেড়ে দেয়ার ঘটনার প্রতিবাদ জানান। সে সময় মিলনপক্ষ ও রঞ্জুর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই সময় কয়েক শ্রমিক নেতার মধ্যস্থতায় উভয় গ্রুপ বিষয়টি মীমাংসা করে নেন। দু পক্ষ দু দিকে চলে যায়। পরে মিলন ড্রাইভার বেশ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম রঞ্জুর ওপর হামলা করে। এরই একপর্যায়ে শেখ রঞ্জুর পক্ষের শ্রমিক নেতারাও সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তারা প্রতিপক্ষকে পিটিয়ে পিছু হটতে বাধ্য করে। সে সময় আলমডাঙ্গার লালব্রিজ এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ মারামারির ঘটনায় উভয়পক্ষের প্রায় ১০-১২ জন কম-বেশি আহত হয়েছেন। আহত শেখ রঞ্জুকে হারদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে গতকাল রাতেই উভয়পক্ষ বিষয়টি মীমাংসার জন্য একত্রিত হয় বলে জানা গেছে।