চুয়াডাঙ্গার যদুবপুরে মোবাইলফোনে প্রতারকের খপ্পড়ে পড়ে ২৫ হাজার টাকা গচ্চা
নারায়ণ ভৌমিক: তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারে বাংলাদেশের মানব সম্পদের যেমন উন্নয়ন হয়েছে, তেমনি তথ্য ও প্রযুক্ত ব্যবহার করে সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্রের ফাঁদে পড়ে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্তাসহ সরল সোজা মানুষ নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। তথ্য প্রযুক্তির যুগেও লোভ ও লাভের ফাঁদে ফেলে রেজিস্ট্রেশন সিমকার্ড ব্যবহার করে প্রতারকচক্র হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। প্রশাসনিকভাবে প্রতারকচক্রকে শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করার ফলে প্রতারকচক্রের প্রতারণার দৌরত্ম দেশে দিন দিন ব্যাপকভাবে বুদ্ধি পেয়েছে। গতকাল সোমবার প্রতারকচক্র প্রতারণার ফাঁদে ফেলে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের যদুবপুর পারঘাটা পাড়ার এক হতদরিদ্র দিনমজুরের নিকট বিকাশে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। প্রতারকের খপ্পরে পড়ে বাকিতে বিকাশে টাকা হারিয়ে সরলসোজা কৃষক বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
জানা গেছে, পারঘাটাপাড়ার মৃত আকরাম আলীর ছেলে কেরামত আলী (৫৮)। তিনি জানান, সকালে কলাবাগানে কাজ করাকালে নিজেকে বাংলালিংক কোম্পানির এমডি পরিচয় দিয়ে ০১৯৯৫০৭১৭৭৫ নং মোবাইলফোন থেকে জানান ভাই আপনি ভাগ্যবান, বাংলালিংক কোপানির লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতে আপনার ১ম পুরস্কার ২১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা পেয়েছেন। এখন ওই টাকা উত্তোলন করতে সিরিয়াল দেয়ার জন্য ০১৭৭৬৩১৬৫৪৮ নম্বর ফোনে ২১ হাজার টাকা বিকাশ করুন। এতো টাকা পয়সা পেয়েছেন নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখবেন। কাউকে না বলার জন্য প্রতারক তাকে সর্তক করে দেন। সরলসোজা কৃষক কেরামত আলী প্রতারকের কথামত দুপুরের দিকে আন্দুলবাড়িয়া বাজারের বিকাশ এজেন্ট নুরুজ্জামান বাপ্পীর নিকট ২ বারে ২৩ হাজার ৫শ টাকা বিকাশ দেন। এর পর আরও ২১ হাজার টাকা দাবি করলে তার হুশ ফেরে। কিছুক্ষণ পর প্রতারক মোবাইল বন্ধ করে দেয়।
বিকাশ এজেন্ট নুরুজ্জামান বাপ্পী বলেন, তিনি নম্বর দিয়ে প্রথমে সাড়ে ৮ হাজার টাকা বিকাশ দিতে বলেন। টাকা চাইলে তিনি বলেন আমি কি পালিয়ে যাচ্ছি। টাকা দেয়ার পর ফের ওই নম্বরে ১৫ হাজার টাকা দিতে বলেন। টাকা চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, সব টাকা একসাথে দিচ্ছি। আপনাকে টাকা দিতে বলছি আপনি টাকা দেন। টাকা দেয়ার পর প্রতারক বিভিন্ন অজুহাত তুলে ফের ২১ হাজার টাকা দিতে বললে তখন তিনি মুখ খোলেন। এরপর প্রতারক মোবাইলফোন বন্ধ করে দেয়। এ সময় উপস্থিত জনতা মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। এখন আমও গেলো, ছালাও গেলো। চোষ এখন আমড়া।
সূত্র জানায়, বিকাশ এজেন্টকে টাকা দিতে না পারায় জনৈক জিম্মাদারের দায়িত্বে তিনি অবশেষে বাড়ি ফেরেন।