ইবি প্রতিনিধি: দীর্ঘ ৭ বছর পর গতকাল বুধবার কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ ২০১০ সালে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (্্ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী। বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ অফিস সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০১০ সালে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এ সময় উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক ড. এম আলাউদ্দিন। এরপর ২০১৩ সালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকারের সময় নবীনবরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো। নবীনবরণের জন্য স্যুভেনির ছাপানোসহ সব ধরনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছিল। প্রধান অতিথি হিসেবে আসার কথা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিক। তবে বিশেষ কারণে নবীনবরণ স্থগিত করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এসএম আব্দুল লতিফ এ বিষয়ে বলেন, কেন অনেক দিন নবীনবরণ হয়নি তার কারণ বলতে গেলে আমি বলবো-আগের প্রশাসন চাইনি, তাই নবীনবরণ হয়নি। তবে আনন্দের বিষয় হলো বর্তমান ভিসির আন্তরিকতার কারণে প্রায় অর্ধযুগ পর হলেও নবীনবরণ অনুষ্ঠান হলো।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ৭ বছর কেন নবীনবরণ হয়নি সে বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমার দায়িত্ব গ্রহণের এখনও ছয় মাস পূর্ণ হয়নি। তারপরও এ স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রাম করতে পেরেছি। এটা এখন থেকে অব্যাহত থাকবে। জানা যায়, বুধবার সকাল ১০টায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলানায়তনে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। ফুল দিয়ে বরণ শেষে আলোচনাপর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা সার্টিফিকেটমুখী হয়ে গেছে। সার্টিফিকেটে ভালো রেজাল্ট উল্লেখ থাকলেও শিক্ষার্থীরা চাকরি পাচ্ছে না। কারণ তারা যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারছে না। আর এ কারণেই দিন দিন বেকারের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, চাকরির বাজারে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হলে তিনটি ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে। এক কমিউনিকেশন স্কিল (যোগাযোগ দক্ষতা) বাড়ানো। দুই আইটিতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তিন ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা বাড়াতে হবে।