চুয়াডাঙ্গা পৌরসচিব পুলিশের দৃষ্টিতে পলাতকই রয়েছেন
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সচিব কাজী শরিফুল ইসরামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করার পর চাকরি থেকে বরখাস্তকৃত টিকাদান সুপারভাইজার আফরোজ পারভীন গতকালও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে পারেননি। অপরদিকে সচিব কাজী শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি ওয়ারেন্ট জারি হওয়ায় পুলিশের দৃষ্টিতে তিনি পলাতকই রয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার টিকাদান সুপারভাইজার মোছা. আফরোজা পারভীন দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর ধরে চাকরিরত ছিলেন। তিনি মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভায় প্রথম নিয়োগ লাভ করেন। পরবর্তিতে তিনি কয়েকটি পৌরসভায় সুনামের সাথে দায়িত্ব পালনের এক পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় বদলি নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার স্বামী সহকারী প্রকৌশলী।
আফরোজা পারভীন বলেছেন, “চাকরি বিধিতে আমার কোনো ত্রুটি নেই। পৌরসভার সচিবের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি। মামলা হয়েছে। একটি মামলা নিস্পত্তির পূর্বে অভিযুক্তর পক্ষ নেয়া কি পক্ষপাতিত্ব নয়? আমাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পর আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। মহামান্য হাইকোর্ট আমার চাকরি থেকে বরখাস্তের আদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। এ আদেশ বলে গত ১৫ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় স্বপদে যোগাদেনর আবেদন করি। এরপরও আমার দায়িত্ব দেয়া হয়নি। হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেয়া হচ্ছে না। বেতনও নিতে পারছি না। ফলে পুনরায় এ বিষয়ে লিখিতভাবে আবেদন করেছি। তাতেও সাড়া নেই। উচ্চ আদালতের আদেশের কপি বিধিমোতাবেক চুয়াডাঙ্গা জেলা আদালতের জারিকারকের মাধ্যমেও জারি করা হয়েছে। অথচ উচ্চ আদালতের আদেশ অবজ্ঞা করে আমাকে আমার দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে না।” গতকালও তিনি দায়িত্ব নিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন।
অপরদিকে এ বিষয়ে পৌর মেয়রের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মেইলযোগে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের লিভটু আপিল নং ২৯২/২০১৭ শোনানীর অপেক্ষায় রয়েছেন মর্মে আপিল বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক (বিচার) স্বাক্ষরিত প্রত্যায়ন প্রেরণ করা হয়েছে। যার স্বারক ১৭০/২০১৭ এসসি (এসডি) তারিখ ২৬/০১/১৭।
এদিকে গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনের শীরোনামে “উচ্চ আদালতের দেয়া জামিনের মেয়াদ শেষে চুয়াডাঙ্গা পৌর সচিব কাজী শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি ওয়ারেন্ট : পুলিশের দৃষ্টিতে পলাতক তিনি’’ – এর স্থলে মুদ্রণজনিত ত্রুটির কারণে অন্য একটি প্রতিবেদনের শিরোনামের একাংশ “ছাত্রলীগ নেতার গ্যাঙগ্রুপ গঠন করে ব্যবসায়ীদের নিকট চাঁদাদাবি, চাঁদা না পেয়ে হামলা” প্রকাশিত হয়। অনইচ্ছাকৃত এ ত্রুটির জন্য সংশ্লিষ্ট অপারেটরসহ দৈনিক মাথাভাঙ্গার মুদ্রণবিভাগ মার্জনা চেয়েছেন।