মহেশপুর প্রতিনিধি: মহেশেপুর উপজেলা চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে এ সভায় মহেশপুর রনাঙ্গণে প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে শাহাদাৎ বরণকারী শহীদ সিরাজুল ইসলামের নাম ৪৬ বছর পর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী আব্দুল হাই এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠি সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মকবুল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাফুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমন্ডার ড. আব্দুল মালেক গাজী, ডেপুটি কমান্ডার রবিউল হোসেন, পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী আব্দুস সাত্তার, ডেপুটি কমান্ডার মোস্তফা মাস্টার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জুলফিকার আলী প্রমুখ।
যাচাই-বাছাই কমিটির সূত্র থেকে জানা যায়, অনলাইনে ১শ ২৭ জন এবং সরাসরি ২০ জন মোট ১শ ৪৭ জনের আবেদন পাওয়া গেছে। তাদের যাচাই-বাছাই কমিটির সামনে তথ্য উপস্থাপন করার জন্য বলা হয়েছে। জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মকবুল হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয়ের নিয়মানুযায়ী যাদের তথ্য সঠিক বলে প্রমাণিত হবে তাদেরকেই অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সুপারিশ করা হবে। ১৯৭১ সালে উপজেলার খদ্দর খালিশপুর গ্রামের মৃত আত্তাপ উদ্দীনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম চৌগাছা সীমান্তে পাকহানাদার বাহিনীর হাতে শাহাদাৎ বরণ করলে তাকে শহীদের মর্যাদা দেয়ার জন্য আবেদন জমা হলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা প্রাই সকলেই এই উপজেলায় তিনিই প্রথম শাহাদাৎ বরণকারী হিসেবে স্বীকার করেন। যাচাই-বাছাই কমিটি বিষয়টি গ্রহণ করেন। সভায় অনেককেই বলতে শোনা গেছে ৪৬ বছর পর সিরাজুল শহীদের মর্যাদা পেতে যাচ্ছে। যাচাই-বাছাই কমিটির সামনে অনেক আবেদনকারী ছিলেন অসুস্থ, কেই বা হুইল চেয়ারে করে স্বাক্ষ্য দেয়ার জন্য এসেছিলেন।