স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় অতি দরিদ্রদের ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচি কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল রোববার জেলা সদরে শঙ্করচন্দ্র, বেগমপুর ও পদ্মাবিলা ইউনিয়নে এ কাজের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৃণাল কান্তি দে।এ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, এ সময় তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিলো ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ। তার এই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অতিদরিদ্রদের ক্ষুধা নিবারনের জন্য বছরে ৪০দিনের ও ৬০দিনের কর্মসংস্থানের কর্মসূচি চালু করেছেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে বছরে ১শ দিন তাদের পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দিতে সক্ষম হবে। শুধু তাই নয় দেশকে তলা বিহিন ঝুড়ি থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছে।
ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের ডিঙ্গেদহ মানিকদিহিতে এ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৃনাল কান্তি দে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমান, উপ সহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, ইউপি সচিব জিয়াউর রহমান জিয়া।
বেগমপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বেগমপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের হেরিং রাস্তার সম্মুখ থেকে ইউনিয়নের কর্মসৃজন প্রকল্প ৪০ দিনের কর্মসূচি কাজের উদ্বোধন করেনউপজেলা নির্বাহী অফিসার মৃনাল কান্তি দে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প বাস্তবায়ন সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী (ত্রাণ) আমিনুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায় সেক্রেটারি ইউপি সচিব আসাবুল হক মাসুদ, ১ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আক্কাচ আলী প্রমুখ। উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের অধীনে বেগমপুর ইউনিয়নে ১২ প্রকল্পে ২৯৫ জন হতদরিদ্র শ্রমিক প্রতিদিন কাজের বিনিময়ে ২শ টাকা হারে পারিশ্রমিক পাবেন। এ প্রকল্পবাস্তবায়নে ২৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আর কাজটি যেভাবে বাস্তবায়ন হয়ে থাকে তা হলো- মন্ত্রণালয়/প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় হতে উপজেলায় বরাদ্দ প্রাপ্তির পর ইউএনও কর্তৃক জনসংখ্যা ও আয়তনের ভিত্তিতে ইউনিয়নওয়ারী বরাদ্দ বিভাজনপূর্বক ইউনিয়ন পরিষদে প্রেরণ করা হয়। ইউপি কর্তৃক বরাদ্দ অনুযায়ী শ্রমিক এবং ওয়েজ ও নন-ওয়েজ কর্মের প্রকল্প তালিকা প্রস্তুত করে উপজেলা কমিটিতে প্রেরণ করা হয়। জেলা কর্ণধার কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদনের পর শ্রমিকদের জব কার্ড এবং প্রকল্পের সাইনবোর্ড প্রস্তুত করা হয়। মন্ত্রণালয়/প্রকল্প পরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত বরাদ্দের আলোকে বিল প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক একাউন্টে (মাদার একাউন্ট) অর্থ জমা করা হয়। শ্রমিক তালিকা অনুযায়ী ইউনিয়ন ওয়ারী শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের জন্য ব্যাংকের শাখা নির্বাচন করে প্রত্যেক শ্রমিকের নামে ব্যাংক হিসাব খোলা হয় এবং মাদার একাউন্ট হতে নির্ধারিত ব্যাংকের শাখায় (চাইল্ড একাউন্ট) টাকা স্থানান্তর করা হয়। প্রকল্প তদারকির জন্য উপজেলা কর্মকর্তাদের ইউনিয়ন ওয়ারী ট্যাগ অফিসার হিসেবে নিয়োগ করে প্রকল্পস্থলে সাইনবোর্ড স্থাপনপূর্বক প্রকল্পের কাজ আরম্ভ করা হয়। নন-ওয়েজ টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট পিআইসি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। ওয়েজ কস্টের (টাকা) জন্য প্রতি সপ্তাহে ফিল্ড সুপারভাইজার ও ট্যাগ অফিসারের প্রত্যয়নের ভিত্তিতে অগ্রগতি অনুযায়ী শ্রমিক মজুরি ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়।
পাঁচমাইল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, পদ্মবিলা ইউনিয়নে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হায়দারপুর গ্রামে কর্মসংস্থান (ইজিপিপি) কর্মসূচির কাজের উদ্ধধন করেন পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সচিব আব্দুল হান্নান, মেম্বার হাসানুজ্জামান, আজিবার হোসেন, আলিম হোসেন প্রমুখ। নারী-পুরুষ দিয়ে ১২৮ জন লেবার কাজ করছেন।