ডাকাতির সময় হাতেনাতে ধরা না পড়লে সন্দেহ দূরের কথা অনুমান করাও অতোটা সহজ ছিলো না। ওরা দিনে-রাতে চোখ রাঙিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় পুরো এলাকা। উঠতি বয়সী ওরা যে ডাকাতিও করতে পারে তা কশ্চিনকালেও ভাবতে পারেনি। তবে ওদের বিরুদ্ধে এর ওর নিকট থেকে নানা অজুহাতে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ অনেকটাই গাসওয়া। সে নালিশ পুলিশ পর্যন্ত পৌঁছায়নি। কে কোন সাহসে পৌঁছুবে? ভাগ্যিস ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। মুখোশ যখন খুলেছেই তখন উচিত শিক্ষা তথা উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আর এটা করতে পারলে অবশ্যই অপরাধ প্রবণতা হ্রাস পাবে। অন্যথায় বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের যে এলাকাবাসী পালাক্রমে রাতের পর রাত জেগে পালাক্রমে পাহারা দিয়েছেন, সেই এলাকারই কয়েক যুবক ডাকাতি করেছে পাশের মহল্লা বুজরুকগড়গড়ি নীলার মোড়ের একটি বাড়িতে। সন্ধ্যারাতে অভিনব কৌশলে ডাকাতির বিষয়টি সত্যিই দুঃসাহসিক। ডাকাতি শেষে ছাদ থেকে লাফিয়ে ৩ জন পালাতে পারলেও একজন হাতেনাতে ধরা পড়ে। যে যুবক ধরা পড়েছে তার নিকট থেকেই বেরিয়ে এসেছে তার সহযোগীদের নাম। গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আর কাউকে পুলিশ ধরতে পারেনি। ডাকাতি হওয়া সোনার গয়নাও উদ্ধার হয়নি। ডাকাতদল গৃহকর্তার মেয়ের বিয়ের গয়না ডাকাতির পাশাপাশি জমির দলিলের সন্ধান চেয়েছে। কেন? তবে কি ঘটনার আড়ালে আরও ঘটনা লুকিয়ে আছে? পুলিশি দক্ষতায় নিশ্চয় সেটাও বেরিয়ে আসবে বলে বিশ্বাস। পুলিশের ওপর আস্থা বা বিশ্বাস রাখা ছাড়া তো উপায়ও নেই।
যেহেতু অপরাধীরা আকাশ থেকে পড়ে না, নিজেদের ঘরে বাইরেই অপরাধীর অবস্থান সেহেতু নিজেদেরই অধিক সচেতন হওয়া দরকার। রাত জেগে পাহারা দিয়েও লাভ হয় না যদি আশপাশে ঘুর ঘুর করা অপরাধীদের নিজ এলাকার সচেতন মানুষেরা চিনতে না পারেন। চিনতে হবে, জানতে হবে শুধু নিজেদের স্বার্থেই নয়, ওদের সুধরে সুপথে ফেরানোর জন্যও দরকার। উঠতি বয়সীদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা পেয়ে বসার জন্য অবশ্যই বড়রাই দায়ী। যে সমাজে বড়দের তথা দায়িত্বশীলদের মধ্যে সমাজ সুন্দর করা তথা ছোটদের প্রতি কর্তব্য পালনে আন্তরিকতা রয়েছে সেই সমাজ উঠতি বয়সীরা অবশ্যই সুপথে থাকে।