Untitled

৫ দফা দাবিতে কাল থেকে চুয়াডাঙ্গায় লাগাতার পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান

স্টাফ রিপোরর্টার: ৫ দফা দাবিতে কাল থেকে চুয়াডাঙ্গায় লাগাতার পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করেছে সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সংগঠনের কার্যালয়ে জরুরি সভায় এ সিন্ধান্ত নেয়া হয়। সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এএকএম মঈন উদ্দীন মুক্তা স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গার প্রধান সড়কগুলোতে থেকে অবৈধ যানবহন বন্ধসহ পাঁচদফা দাবিতে লাগাতার পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করেছে জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সংগঠটির কার্যালয়ে জরুরিসভা শেষে এই আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

বলা হয়, গত ১৪ জানুয়ারি সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ চুয়াডাঙ্গার প্রধান পাঁচটি সড়ক থেকে সকল অবৈধ যানবহন বন্ধসহ ৫ দফা দাবি পূরণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দেন। সেই আল্টিমেটামের শেষ দিন ছিলো গতকাল সোমবার। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন দাবি পূরণের কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ না নেয়ায় সোমবার সন্ধ্যায় জরুরী বর্ধিত সভা করে সংগঠনটি। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সিনিয়র সহসভাপতি এম জেনারেল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহসভাপতি ইসলাম উদ্দীন, আব্দুল হালিম, হাজি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক রিপন মণ্ডল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোকন, এ নাসির জোয়ার্দ্দার, একেএম মঈন উদ্দীন মুক্তা ও হাবিল হোসেন জোয়াদ্দার, কার্যনির্বাহী সদস্য সিরাজুল ইসলাম, আবু বক্কর সিদ্দিক, মিয়া মোহাম্মদ সোহেল রঞ্জু ও হাজি ওসমান আলী।

সংগঠনটির পাঁচ দফার মধ্যে রয়েছে- প্রধান ৫টি সড়ক থেকে রেজিস্ট্রেশনবিহীন সকল থ্রিহুইলার বন্ধ, একই পাঁচটি সড়ক থেকে নসিমন করিমন, আলমসাধু, পাখিভ্যানসহ সকল যান উচ্ছেদ, পৌর শহরের ভেতর ছাড়া ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করা, প্রধান সড়কগুলো থেকে স্প্রিডব্রেকার ও হাটবাজার অপসারণ করা ও অবিলম্বে চুয়াডাঙ্গায় ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ করা। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল রুটে কাল বুধবার থেকে লাগাতার পরিবহন ধর্মঘট পালন করা হবে। এই ধর্মঘটের আওতায় থাকবে ঢাকাগামী সকল কোচ, পণ্যবাহী ট্রাক-ট্রাঙ্কলরি, মাইক্রো ও স্থানীয় সকল যানবহন। সভা শেষে সংগঠনটির মূখপাত্র রিপন মণ্ডল সাংবাদিকদের জানান, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে ৯ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের আল্টিমেটাম নিয়ে প্রশাসন সংকট মোকাবেলায় কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আর তাই বাধ্য হয়ে আমরা কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি।

সংগঠনিটর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈন উদ্দীন মুক্তা জানান, যতোক্ষণ পর্যন্ত আমাদের ৫ দফা দাবি পূরণ না হবে ততোক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে আরো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

 

Leave a comment