স্টাফ রিপোর্টার: দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ, মুক্তি কামনা ও বিশ্বশান্তির জন্য মহান আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে রহমত ও সাহায্য চেয়ে শেষ হলো তাবলিগ জামাতের বৃহত্তম আসর বিশ্ব ইজতেমা। টঙ্গীর তুরাগ তীরের এই জমায়েতে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলিম উপস্থিত হয়ে মোনাজাতে অংশ নেন। মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করতে আল্লাহর দরবারে রহমত প্রার্থনা করেন ইজতেমা ময়দানে আগত লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলি্লরা। তাদের অশ্রুভেজা কান্না আর আমিন, আমিন ধ্বনিতে কহর দরিয়াখ্যাত তুরাগ তীরে বিরাজ করে পুণ্যভূমির আদলে ধর্মীয় আমেজ।
মোনাজাত পরিচালনা করেন দিলি্ল থেকে আগত মওলানা সাদ। তিনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে দীনের ওপর সবাই যেন মেহনত করে চলতে পারে সে দোয়া করেন। এ ছাড়া দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে মানুষকে হেফাজত করতে আল্লাহর কাছে সাহায্য ও রহমত কামনা করেন। তার সঙ্গে দুই হাত তুলে আমিন আল্লাহুম্মা আমিন ধ্বনি তুলে কান্নায় ভেঙে পড়েন নারী-শিশুসহ উপস্থিত ভক্তপ্রাণ মুসলি্লরা। অশ্রুসিক্ত মুসলি্লরা নিজের গুনাহ মাফ চেয়ে মহান আল্লার কাছে কান্নাকাটি করে দু’হাত তুলে ফরিয়াদ জানান। এর আগে রোববার ভোর থেকে শুরু জয় দিকনির্দেশনামূলক হেদায়েতি বয়ান। শীর্ষস্থানীয় আলেমগণ ইসলামের পথে বের হয়ে আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশিত সঠিক পথে চলার জন্য মুসলি্লদের উদ্দেশ্য পর্যায়ক্রমে বয়ান করেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হেদায়েতি বয়ান শুরু করেন মওলানা সাদ। বয়ান শেষে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে শুরু হয় প্রত্যাশিত আখেরি মোনাজাত। মোনাজাতের সময় বিশাল জনসমুদ্রে হঠাৎ নেমে আসে পিনপতন নীরবতা। যে যেখানে ছিলেন, সেখানেই দাঁড়িয়েই কিংবা বসে হাত তোলেন আল্লাহর দরবারে। দু’হাত তুলে এ সময় কান্নায় বুক ভাসান মুসলি্লরা।
প্রায় ৩৪ মিনিটের মোনাজাতে মওলানা সাদ প্রথম কয়েক মিনিট পবিত্র কোরআনে বর্ণিত দোয়ার আয়াতগুলো উচ্চারণ করেন। শেষের দিকে দোয়া করেন উর্দু ভাষায়। মুঠোফোন ও স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের সুবাদে দেশ-বিদেশের লাখো মানুষ একসঙ্গে হাত তোলে ইজতেমা ময়দানের লাখো মুসলি্লর সাথে দোয়ায় শরিক হতে দেখা যায়। এদিকে বিশ্ব তাবলীগ জামাতের আয়োজনে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় এই বৃহত্তম মহা সমাবেশের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে শনিবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। আর গতকাল ভোরে শীতকে উপেক্ষা করে রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকার লোকজন রওনা হন ইজতেমা ময়দানের দিকে। সকাল সাড়ে ৮টার আগেই ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশ এলাকার সড়ক-মহাসড়ক, অলিগলি ও খালি জায়গায় মুসলি্লদের পদচারণায় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় পুরো ইজতেমা এলাকা। মূল ইজতেমা ময়দান ছাপিয়ে পুরো টঙ্গী শিল্প এলাকাসহ চারদিকে ৫-৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা এ সময় এক মানব বলয়ে পরিণত হয়।
ইজতেমাস্থলে পৌঁছতে না পেরে অনেক মুসলি্ল্লআখেরি মোনাজাতের জন্য খবরের কাগজ, পাটি, বস্তা ও পলিথিন বিছিয়ে কামারপাড়া সড়ক ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক এবং অলি-গলিসহ বিভিন্নস্থানে অবস্থান নেন। নানা বয়সী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি নারীদেরও মোনাজাতে অংশ নিতে দেখা যায়। এমনকি বাসা-বাড়ি ও কারখানার ছাদ, নৌকা, বাসের ছাদ, ফুটওভার ব্রিজসহ যে যেখানে পেরেছেন সেখানে বসেই দুই হাত তুলে মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তাবলীগ জামাতের উদ্যোগে বাংলাদেশে আয়োজিত ৫২তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দফার আখেরি মোনাজাতে কয়েক ১০ থেকে ১২ লক্ষাধিক মুসল্লি অংশ নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্বের ৯৫ দেশের সহস্রাধিক বিদেশি মুসলি্ল ইজতেমায় দ্বিতীয় পর্বেও অংশ নেন। মোনাজাতে মহিলাদের অংশগ্রহণ দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার মহিলা মুসলি্লও আগের দিন রাত থেকে ইজতেমা ময়দানের আশপাশে, বিভিন্ন মিলকারখানা, বাসা-বাড়িতে ও বিভিন্ন দালানের ছাদে বসে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে দেখা যায়। ইজতেমায় মহিলাদের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা না থাকায় যে যেখানে পেরেছেন সেখানে বসেই মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন।
টিভি চ্যানেল ও মোবাইলের মাধ্যমে মোনাজাত আখেরি মোনাজাতের সময় বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও মোবাইলের মাধ্যমে লাখ লাখ নারী-পুরুষ, ও শিশু টিভির সামনে বসে এক কাতারে মোনাজাতে অংশ নিতে দেখা যায়।
নজিরবিহীন নিরাপত্তাব্যবস্থা: এবারের দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমায় নজীরবিহীন নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থায় দুই ভাগে প্রায় ১২ হাজারের অধিক পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করেছেন সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে আকাশে র্যাবের হেলিকপ্টার টহল, নৌ-পথে স্পিড বোটে সতর্ক টহল ও নজরদারিও ছিল। আকাশ ও নৌ-পথের পাশাপাশি সড়ক পথগুলোতে খালি চোখ ছাড়াও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে বাইনোকুলার দিয়ে মুসলি্লসহ সবার চলার পথ ও কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এসব কার্যক্রম অস্থায়ীভাবে স্থাপিত র্যাবের প্রধান নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মনিটরিং করা হয়েছে। গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশিদ জানান, বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসলি্লদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, আল্লাহর বিশেষ রহমতে দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমা কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সফল ও সুন্দরভাবে সুসম্পন্ন হওয়ায় তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
আগামী বছর ইজতেমা শুরু ১২ জানুয়ারি: এদিকে টঙ্গীর তুরাগতীরে আগামী বছরের ১২ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হবে। আয়োজক কমিটির মুরবি্ব মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, ইজতেমার দেশি-বিদেশি সংগঠকরা বৃহস্পতিবার ইজতেমা ময়দানে এক বৈঠকে এ তারিখ ঠিক করেন।
প্রথম পর্ব শেষে ১৯ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। তিন দিন করে প্রতিটি পর্বই আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে। এবারের মতো আগামী বছরও দুই পর্বে দেশের ৩২টি জেলার মুসলি্লরা (জামাতবদ্ধ তাবলিগ সদস্যরা) ইজতেমায় অংশ নেবেন বলে গিয়াস উদ্দিন জানান। বৈঠকে জোড় ইজতেমার তারিখও ঠিক করা হয়েছে। সাধারণত বিশ্ব ইজতেমার অন্তত ৪০ দিন আগে জোড় ইজতেমা হয়। এ বছর ১৭ নভেম্বর পাঁচ দিনের ওই জোড় ইজতেমা শুরু হবে বলে জানান তিনি।
ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র
মাথাভাঙ্গা মনিটর: নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রস বিশ্বের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। ওয়াশিংটনসহ বিভিন্ন শহরের বিক্ষোভে লাখ লাখ নারী অংশ নিয়েছেন। দেশটিতে ২০ লাখের বেশি মানুষ বিক্ষোভে যোগ দেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারা বিশ্বে ৬ শতাধিক বিক্ষোভ হয়েছে বলে বিশ্ব গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। বিক্ষোভে ম্যাডোনার মতো তারকা শিল্পীরাও যোগ দেন। এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শনিবার মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র অফিস পরিদর্শন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেয়ার পরদিনই দেশটির একাধিক শহরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন লাখ লাখ মানুষ। নারীদের বিষয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিবাদে প্রথমে ওয়াশিংটনে ওই বিক্ষোভ মিছিল হওয়ার কথা থাকলেও, পরে দেশটির আরো অনেক শহরে তা ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রে সব মিলিয়ে বিশ লাখের বেশি মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিক্ষোভের আরো কারণ অভিবাসন, মুসলিমবিরোধী মন্তব্য, স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি বাতিল এবং ট্রাম্পের প্রতি ঘৃণা।
ওয়াশিংটনে নারীদের বিক্ষোভ: প্রধানত নারী সংগঠনগুলোর আয়োজনে ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হলেও, তাতে অনেক পুরুষও অংশ নেন। নারীদের ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথিত ‘পুরুষতান্ত্রিক আচরণের’ প্রতিবাদ জানাতে এ বিক্ষোভ ডাকা হয়। নারী অধিকার কর্মীদের আশংকা, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় তাদের অধিকার ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। সবচেয়ে বড় সমাবেশ হয়েছে ওয়াশিংটনে। সেখানে পাচঁ লাখের বেশি মানুষ অংশ নেয়। যদিও বিক্ষোভকারীদের এই দাবির সতত্য নিশ্চিত করা যায়নি। প্রথমে ওয়াশিংটনের পেনসিলভানিয়া এভিনিউয়ে বিক্ষোভের জন্য জড়ো হন। একদিন আগেই এই এভিনিউতে প্যারেড করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পরিকল্পনা ছিল, তারা হোয়াইট হাউসের সামনে মিছিল নিয়ে যাবেন। কিন্তু মিছিলের পথ জুড়েই লাখ লাখ বিক্ষোভকারী অবস্থান নেওয়ায় তা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিতি ছিল শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানের চেয়েও বেশি, যাদের মধ্যে রয়েছেন অনেক তারকা শিল্পীও। তাদের মধ্যে আছেন সদ্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি, সংগীতশিল্পী ম্যাডোনা, গায়িকা কেটি পেরি, সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন, অভিনেত্রী জুলিয়ান মোর, স্কারলেট ইয়োহানসন, পরিচালক মাইকেল মুর ও নারী অধিকারকর্মী গ্লোরিয়া স্টাইনহ্যাম।
সমাবেশে মার্কিন সংগীতশিল্পী ম্যাডোনা বলেন, ‘এই দিন আমাদের জীবন শুরু করার দিন। বিপ্লব এখান থেকেই শুরু হচ্ছে। এটা আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের পরিচয়, আমাদের সম অধিকারের লড়াই। এই অন্ধকারের বিরুদ্ধে চলুন সবাই একসাথে লড়াই করে জানিয়ে দেই যে আমরা ভীত নই, আমরা একা নই এবং আমরা পিছনে ফিরবো না।’ এরপর তিনি নিজেকে তুলে ধরার বক্তব্য সম্বলিত একটি গানও গেয়ে শোনান। ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে অনেকেই শ্লোগান দেন, ‘তুমি আমার প্রেসিডেন্ট নও’। বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘ঘৃণা নয় ভালোবাসা’, ‘দেয়াল নয়, সেতু’ ইত্যাদি। ওয়াশিংটনের এই বিক্ষোভ পরে যুক্তরাষ্ট্রের আরো কয়েকটি বড় শহরে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের ভিডিওর তথ্যানুযায়ী, বোস্টনে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার বিক্ষোভকারী অংশ নেন। পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভ এত বড় ছিল যে, তারা ঠিকমতো রাস্তা দিয়ে হাঁটতেও পারেনি। বিক্ষোভের সারি দেখে মনে হচ্ছিল, সাপ নিজেই তার লেজ খাচ্ছে। সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন ওই বিক্ষোভে বলেন, আমরা নীরব থাকবো না, আমরা পেছন ফিরে যুদ্ধ করবো না।
লস অ্যাঞ্জেলসের বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, তাদের সমাবেশে সাড়ে সাত লাখের বেশি মানুষ অংশ নেন। যদিও পুলিশ জানায়, ২০০৬ সালে অভিবাসনের পক্ষে মিছিলের চেয়ে বেশি হয়েছে। ওই মিছিলে ৫ লাখ মানুষ অংশ নেন। মানুষের এত ভীড় ছিল তারা একজায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছিল। নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্প টাওয়ারের দিকে যাত্রা করেন। কিন্তু ফিফথ এভিনিউতে তাদের আটকে দেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তিনদিন আগেও এখানে ছিলেন। তিনি এখন হোয়াইট হাউসে আছেন। নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডে ব্ল্যাসিয়ো জানিয়েছেন, চার লাখ মানুষের বিক্ষোভ ছিল। আয়োজকরা বলছেন বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মানুষের সংখ্যা ৬ লাখ। শিকাগোর পুলিশ জানিয়েছে, সোয়া লাখের বেশি মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। ডেনভারে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মানুষের সংখ্যা ছিল চার লাখ। পুলিশ জানিয়েছে, হস্টনে ২০ হাজারের অধিক, ওকল্যান্ডে ৬০ হাজার এবং আটলান্টা শহরে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ বিক্ষোভ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, আমেরিকার ২১ টি শহরের বিক্ষোভে মাত্র চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওয়াশিংটনে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে অন্যান্য দেশে: সারাবিশ্ব জুড়ে অন্তত ৬০০ বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে বলে জানা গেছে। বিক্ষোভ হয়েছে লন্ডন, ইসরাইলের তেলআবিব, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ও সিডনি, প্রিস্টিনা, মস্কো, জার্মানির বার্লিন, মেক্সিকো সিটি, ফ্রান্সের প্যারিস ও গ্রিসের এথেন্সসহ বিভিন্ন শহরে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সমাবেশ এটাই প্রমাণ করছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সমাজে গভীর বিভক্তি আর ট্রাম্পের ভবিষ্যত্ কর্মকান্ড নিয়ে ভীতি তৈরি হয়েছে। ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং জাপানেও তার বিরোধীরা বিক্ষোভ করেছেন।