৮৬ রানের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত অস্ট্রেলিয়ার
মাথাভাঙ্গা মনিটর: পাকিস্তানকে ৮৬ রানে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করলো অস্ট্রেলিয়া। গতকাল রোববার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এই জয়ের মধ্যদিয়ে অজিরা সিরিজ জিতলো ৩-১ এ। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি দলপতি স্মিথ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ৩৫৩ রান তোলে। ব্যাটিঙ নেমে ৪৩.৫ ওভারে ২৬৭ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। ফলে অস্ট্রেলিয়া ৮৬ রানের জয় পায়। শুরুতে ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৯২ রান করেন ওপেনার উসমান খাজা ও ডেভিড ওয়ার্নার। ৩০ রান করে খাজা বিদায় নিলেও ওয়ার্নার ক্যারিয়ারের ১২তম শতক তুলে নেন।
১১৯ বল মোকাবেলায় ১১টি চার আর দুটি ছক্কায় করেন ১৩০ রান। তিন নম্বরে নামা দলপতি স্মিথের ব্যাট থেকে আসে ৪৯ রান। ট্রেভিস হেড ৩৬ বলে চারটি ছক্কা আর দুটি বাউন্ডারিতে করেন ঝড়ো ৫১ রানের ইনিংস। এছাড়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল করেন ৭৮ রান। পাকিস্তানের হয়ে পাঁচ উইকেট নেন হাসান আলি। ৩৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের ওপেনার শারজিল খান করেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৪ রান। তিন নম্বরে নামা বাবর আজম ৩১ রান করে বিদায় নেন। ম্যাচের মোড় ঘুরাতে চেষ্টা করা মোহাম্মদ হাফিজ করেন ৪০ বলে ৪০ রান। সোয়েব মালিকের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান। ইমাদ ওয়াসিম করেন ২৫ রান। কিন্তু লাভ হয়নি। অজিদের হয়ে তিনটি করে উইকেট দখল করেন জস হ্যাজেলউড এবং অ্যাডাম জাম্পা। দুটি উইকেট তুলে নেন ট্রেভিস হেড।
একদিনের রিমান্ডে আরাফাত সানি
স্টাফ রিপোর্টার: তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হওয়া জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত রহমান সানিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার সকালে সাভার থেকে গ্রেফতার করার পর তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। ঢাকা মহানগর হাকিম প্রণব কুমারের আদালতে শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার জানান, গত ৫ জানুয়ারি আরাফাত সানির বান্ধবী নাসরিন সুলতানা তথ্যপ্রযুক্তি আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ১১০, কাটাসুর, মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা নাসরিন সুলতানার সঙ্গে ৭ বছর আগে থেকে সাভারের আমিনবাজার নিবাসী আরাফাত রহমান সানির পূর্বপরিচয় ছিলো। ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর তারা পরিবারের অমতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এরপর নাসরিস সুলতানা তার স্বামীকে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নেয়ার দাবি জানান।
এ নিয়ে তার স্বামী সানি তালবাহানা করতে থাকেন। তার অগোচরে গতবছরের ১২ জুন ফেসবুকে একটি ভুয়া আইডি খুলে তাদের ব্যক্তিগত ছবি আপলোড করেন। বিষয়টি নিয়ে তাকে বহুবার ওইসব ছবি ছড়িয়ে ফেলার অনুরোধ করা হয়। এনিয়ে দু পরিবারের মধ্যে কয়েকদফা বৈঠকও হয়। সানি বিয়ের কথা অস্বীকার করলে তিনি ১১ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর থানায় উপস্থিত হয়ে এই মামলা দায়ের করে। এই অভিযোগেই সানিকে গ্রেফতার করা হয়।
বিশ্বকাপ জয়ের ৩০ বছর পর সংবর্ধনা পেলো অস্ট্রেলিয়া
মাথাভাঙ্গা মনিটর: অবশেষে ৩০ বছর পর সংবর্ধনা পেলো অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মতো শিরোপা এনে দেয়া অ্যালান বোর্ডার বাহিনী। গতকাল রোববার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের মধ্যকার চতুর্থ ওয়ানডের ইনিংস বিরতির সময় জমকালো অনুষ্ঠানে অজি ক্রিকেটারদের পদক তুলে দেয়া হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল-আইসিসি ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রসঙ্গত, ১৯৮৭ সালে ভারত-পাকিস্তানে আয়োজিত বিশ্বকাপের চতুর্থ আসরে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো অ্যালান বোর্ডারের অস্ট্রেলিয়া। সেই সময় শুধু ট্রফি নিয়ে উদযাপন করেছিলেন বোর্ডার বাহিনী। ওই অর্জনের স্মারক হিসেবে কোনো পদক দেয়া হয়নি। অবশেষে ত্রিশ বছর পর আইসিসি অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী দলটিকে সংবর্ধনা দিয়েছে।
এদিকে পদক পাওয়ার পর আইসিসি এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অ্যালান বোর্ডার। তিনি বলেন, এ অনুষ্ঠানের সুবাদে আমরা সবাই আবারও একত্রিত হতে পেরেছি।
মাগুরায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলে খুলনা জেলা দলকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চুয়াডাঙ্গা শুভ সকাল স্পোর্টিং ক্লাব
স্টাফ রিপোর্টার: বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে খুলনা জেলা দলকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে চুয়াডাঙ্গা শুভ সকাল স্পোর্টিং ক্লাব। গতকাল রোববার বিকেলে মাগুরা জেলা স্টেডিয়ামে খুলনা জেলা দল ও চুয়াডাঙ্গা শুভ সকাল স্পোর্টিং ক্লাব মুখোমুখি হয়। খেলায় খুলনা জেলা দলকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে চুয়াডাঙ্গা শুভ সকাল স্পোর্টিং ক্লাব। শুভ সকাল স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষে খোকন দুটি ও জাবেদ ১ গোল করেন। ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন খোকন। কোচ ছিলেন মিলন বিশ্বাস। ম্যানেজার ও ক্লাবের সভাপতি প্রফেসর মাহববুল ইসলাম সেলিম ও সহকারী ম্যানেজার রাজু আহমেদ সুমন খেলায় দায়িত্ব পালন করেন। মামুন, দলীয় অধিনায়ক বিপ্পা, ফারুক, সাইদুর, আক্তার বাবু, সাদ্দাম, তফেল, সোহেল রানা, খোকন, জাবেদ, কাজি সুমন, আব্দুল মালেক খেলোয়াড় ছিলেন। বিজয়ী দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু।
চুয়াডাঙ্গা এমএ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক
ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা এমএ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে বিদ্যালয় চত্বরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। এ সময় তিনি বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। খেলাধুলার মাধ্যমে যেমন বিশ্ব পরিচিতি আনা সম্ভব, তেমনি লেখাপড়ার মাধ্যমে জীবনে সফলতা অর্জন সম্ভব। তাই লেখাপড়া ও খেলাধুলা দুটোই প্রয়োজন। অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বর্তমানে শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ইন্টারনেটের ব্যবহার যেন কল্যাণমূলক কাজে হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি আবদুর রহমান জোয়ার্দ্দার। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মতিন, আসাল উদ্দিন মালিক, প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তা, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হোসেন, একাডেমিক সুপারভাইজার সোহেল আহমেদ, রওশন আলী জোয়ার্দ্দার, সুলতান মাহমুদ জোয়ার্দ্দার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করেন প্রধান শিক্ষক আলী আকতার। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষক কাজল মাহমুদ।
এর আগে সকালে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। এ সময় জাতীয় ও ক্রীড়া পতাকা উত্তোলন করা হয়। দিনব্যাপী ৪৮টি ইভেন্টে প্রতিযোগিরা অংশ নেয়। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।
অবশেষে ভারত সফরে হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়লো ইংল্যান্ড
মাথাভাঙ্গা মনিটর: না, পারলেন না কেদার যাদব। পারলেন না ভুবনেশ্বর কুমারও। শেষ বলে ছক্কাটা মারতে পারলেন না ভুবনেশ্বর, শেষ ৪ বলে ৬ রানের সমীকরণটা মেলাতে পারলেন যাদব। ৫ রানে ম্যাচ জিতে অবশেষে ভারত সফরে হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়লো ইংল্যান্ড। সিরিজের মীমাংসা তো আগের ম্যাচেই হয়ে গেছে (২-১)। ৬ বলে দরকার ১৬ রান। প্রথম বলেই ছক্কা, পরের বলটা চার। দুটোই এক্সট্রা কভার দিয়ে, প্রায় অবিকল একই রকম শটে। এই ইডেন গার্ডেনেই ৮ মাস আগের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতিই ফিরে আসছিলো তখন। এরপরই চমকে দিলেন ওকস। ডট. ডট. আউট! ওই এক্সট্রা কভারেই ক্যাচ দিলেন যাদব। শেষ বলেও কোনো রান নিতে পারলেন না ভুবনেশ্বর। অথচ ইংল্যান্ড ইনিংসের পরই মনে হচ্ছিলো, সিরিজটা ৩-০ ব্যবধানেই শেষ হচ্ছে। শেষ দশ ওভারের ঝড়ের পরও ইংল্যান্ডের রান ‘মাত্র’ ৩২১ রান। এ ম্যাচ তো ভারত জিতেই গেছে! কিন্তু শেষ ওভারের নাটকীয়তায় বদলে গেল সবকিছু। সিরিজের আগের দু ওয়ানডেতে রীতিমতো রানবন্যা হয়েছে। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের ৩৫১ রানের লক্ষ্যটা ভারত পেরিয়েছে ১১ বল হাতে রেখে। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রান আরও ১৬টা বেশি করেছে ইংল্যান্ড। কিন্তু ৩৬৬ রান করেও সে ম্যাচটা হারতে হয়েছে ১৫ রানে। সে তুলনায় ৩২১ রানটা একটু কমই হয়ে গেছে।
তবে রানটা যে তিনশ পেরিয়েছে এ জন্যই বেন স্টোকস ও ক্রিস ওকসকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত অধিনায়ক এওইন মরগানের। ৪০ ওভার শেষের ২২৫ রানের স্কোরটা ৩২১ হয়েছে এ দুজনের ঝড়ে। ৩৯ বলে ৫৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন স্টোকস। আর ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়া ওকস করেছেন ৩৪ রান। ১৯ বলের এ ক্যামিওতে ছিলো ৪টি চার ও ১টি ছক্কা। শেষ দশ ওভারে ইংল্যান্ড পেয়েছে ৯৬ রান।