ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৪৫ কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন স্থান ভেঙে চুরে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী

 

কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের কালীগঞ্জ উপজেলার অংশে ৪৫ কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন স্থান ভেঙে চুরে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অন্তত ৩০টি স্থানে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। উঠে গেছে পিচ ও পাথর। যানবাহনগুলো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে প্রতিদিন। অন্তত ১ বছর ধরে সড়কটির এ অবস্থা। ফলে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রী ও পথচারীদের চরম দুর্ভোগের শেষ নেই।

গতকাল  সরেজমিন দেখা গেছে, ওই ৪৫ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় অর্ধেক অংশ ভাঙাচোরা। এসব স্থানে বহু গর্ত তৈরি হয়েছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সবাইকে আরও কিছুদিন কষ্ট করতে হবে। তারা আপাতত সড়কটি যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে গর্ত ভরাটের কাজ করছেন। সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো কিছুদিনের মধ্যে ঠিকাদারের মাধ্যমে মেরামত করতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি। সড়কের কালীগঞ্জ থেকে যশোর পর্যন্ত কমপক্ষে ২০টি স্থানে গর্ত তৈরি হয়েছে। এসব বড় গর্তের কারণে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো স্থানে রাস্তা এতোটাই খারাপ যে অনেক যানবাহনের চালক ভাঙাচোরা স্থান এড়িয়ে পাশের মাটির অংশ ব্যবহার করেন। আর মাটির ওপর দিয়ে যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করায় আরোহীরা ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। ওই পথে চলাচলকারী আবু কালাম সাথে কথা বলে জানা গেছে, কালীগঞ্জের কয়ারগাছি, বাকুলিয়া, কালীগঞ্জ কলেজ মোড়, বৈশাখী পেট্রোলপাম্প এলাকা, মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সামনে ও বারবাজার, ফুলবাড়ী এলাকায় সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত বর্ষা মরসুমে এ স্থানগুলো ভেঙেচুরে ক্ষতবিক্ষত হয়। মাঝেমধ্যে ইট-বালু দিয়ে গর্ত ভরাট করা হলেও তা বেশি দিন টেকে না। ঠিকাদার নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করার জন্য রাস্তার এ বেহালদশা।

ওই পথের বাসচালক শমসের আলী বলেন, যাত্রীবোঝাই বাস নিয়ে এই ভাঙাচোরা রাস্তাতেই চলতে হয়। অনেক স্থানে তারা মাটির ওপর দিয়ে গাড়ি চালাতে বাধ্য হন। এতে সব সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকেন তারা। ট্রাকচালক আজিজুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তায় পণ্য বোঝাই করে ট্রাক চালিয়ে নিতে খুব কষ্ট হয়; গাড়ি উল্টে যাওয়ার আতঙ্কে থাকেন। এ ব্যাপারে সওজ ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সেলিম আজাদ খান বলেন, মহাসড়কের কিছু স্থানে অবস্থা বেশি খারাপ এটা ঠিক। তবে তারা আপাতত চলাচলের উপযোগী রাখার জন্য রাস্তা মেরামত করে যাচ্ছেন ।

Leave a comment