স্টাফ রিপোর্টার: ৫ দফা দাবিতে আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সকল রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের আহ্বান করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহণ মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এধর্মঘট ডেকেছে। গত ১৪ জানুয়ারি রাতে চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহণ মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাবিবুর রহমান লাভলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক রিপন মণ্ডল। এ সময় কমিটির সহসভাপতি হাজি আবুল কালাম, এম জেনারেল ইসলাম, আব্দুল হালিম ও ইসলাম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম মইন উদ্দিন, হাজি এ নাসির জোয়ার্দ্দার ও সাইফুল হাসান জোয়ার্দ্দার টোকন, কার্যকরি সদস্য হাজি ওসমান আলী, আলী রেজা সজল, মুন্সি আলমগীর স্বপন ও মিয়া মো. সোহেল রনজু উপস্থিত ছিলেন।
৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় বাস চলাচলকারী সড়কে রেজিস্ট্রেশন, ট্যাক্সটোকেন, ফিটনেস ও রুট পারমিটবিহীন থ্রি-হুইলার গাড়ি দাপটের সাথে অবাধে চলাচল অবিলম্বে বন্ধ এবং তাদের নির্ধারিত সড়কে চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। বাস চলাচলকারী সড়কে অবৈধ আলমসাধু, নসিমন, করিমন, লাটাহাম্বার, আগলামন ও পাখিফ্যানে যাত্রী বহন বন্ধ করতে হবে। রিকশার বিকল্প ইজিবাইক চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মধ্যে চলাচল করতে হবে। ইজিবাইকের নির্ধারিত রুটগুলো হলো, চুয়াডাঙ্গা-কোষাঘাটা, চুয়াডাঙ্গা-হাতিকাটা, চুয়াডাঙ্গা-নীলমনিগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা-ডিঙ্গেদহ বাজার পর্যন্ত চলাচলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন সড়কে স্পিড ব্রেকার ও সড়কের হাট বাজার অপসারণ করতে হবে। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় অতিসত্বর ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ করতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহণ মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ৫ দফা দাবি পূরণের জন্য আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছে এসংক্রান্ত একটি চিঠি গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়রের নিকট সরাসরি জমা দিয়েছেন। এছাড়া, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের হুইপ, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য, খুলনা বিভাগীয় পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহণ মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক একেএম মইন উদ্দিন জানান, বাস-ট্রাক মালিকদের সমস্যা নিরসনে স্থানীয় জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্তরে সমাধানের দাবি দীর্ঘদিন জানিয়েও কোনো ফল পায়নি। তাই এধরণের কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছি। প্রশাসন ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে স্থায়ী পদক্ষেপ নিলে মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে।