গাংনী প্রতিনিধি: টাকা আদায় নিয়ে বিরোধের জের ধরে মেহেরপুর গাংনী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহিদুল ইসলামসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় গোপালনগর গ্রামে দুপক্ষের উত্তেজনার এক পর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হচ্ছেন- গাংনী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহিদুল ইসলাম (৩৮), একই ওয়ার্ডের মান্নাফ মিয়ার ছেলে খোকন হোসেন (৪২), ইউনুছ আলী (৩৫) ও আব্দুল্লাহ (২৬) এবং রফিকুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৬)। হামলার সাথে জড়িত সন্দেহে গোপালনগর গ্রাম থেকে স্বপন নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আহত ও পুলিশসূত্রে জানা গেছে, গাংনী শহরের ৮ নং ওয়ার্ড বাসিন্দা আব্দুল্লাহ বাবু গতকাল সন্ধ্যায় গোপালনগর গ্রামের চারচারা মোড়ে ওই গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মিনহাজুলের কাছে টাকা আদায়ে যায়। টাকা পরিশোধ নিয়ে মিনহাজ ও বাবুর মধ্যে বাগবিত-া বাধে। বাবুকে আটকে রাখা হয়েছে মর্মে বাড়িতে খবর যায়। এর প্রেক্ষিতে ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বাবুর ভাই খোকন ও ইউনুছ ঘটনাস্থলে যান। এ সময় মিনহাজুল পক্ষের লোকজনের সঙ্গে বাগবিত-া শুরু হয়। উত্তেজনার এক পর্যায়ে তারা লাঠিসোঁটা দিয়ে বাবু পক্ষের লোকজনকে মারধর শুরু করে। অতর্কিত হামলায় আহত হয় ৫ জন। পরে আহতদেরকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এদিকে খবর পেয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে পৌঁছান। কিন্তু তার আগেই হামলাকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্রাথমিক অভিযানে ওই গ্রামের স্বপন নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এমকে রেজা জানান, আহতদের হাত ও মাথায় আঘাত লেগেছে। এর মধ্যে দুজনের মাথা কাটা স্থানে সেলাই দেয়া হয়েছে। বাকি ৩ জনের দুই হাতের ক্ষত স্থানে বেশ কয়েকটি সেলাই করতে হয়েছে। দুজনের অবস্থান কিছুটা গুরুতর হলেও বাকি ৩ জন আশঙ্কামুক্ত।
গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, বুধবার রাতেই আহত বাবুর এক ভাই বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামি করা হয়েছে ১০/১২ জনকে। আসামি গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি। তবে ঘটনার পর থেকেই হামলার সঙ্গে জড়িতরা গা ঢাকা দিয়েছে বলে এলাকা সূত্রে জানা গেছে।