দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় বসেছে নতুন-পুরাতন কাঁথা কেনার দোকান : কাঁথা সেলাই করে করছে জীবিকা নির্বাহ

 

 

মোস্তাফিজ কচি: দৈনন্দিন জীবনে নিত্য ব্যবহার্য পন্যের মধ্যে কাঁথা একটি গুরুত্বপূর্ণ। কাঁথা ছাড়া চলতে পারে না কোনো পরিবার। গাঁয়ের বধূরা নিপুন হাতের ছোঁয়া দিয়ে তৈরী করে নকশী কাঁথাসহ বিভিন্ন রকমের কাঁথা। কাঁথা সেলাই এখন গ্রামের দুঃসহ নারীদের আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাঁথা বিক্রি করে অনেকেই করছে জীবিকা নির্বাহ। এ কাঁথা কেনার জন্য দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে বেশ কয়েক জায়গায় বসেছে নতুন পুরাতন কাঁথা কেনার দোকান।

দোকান মালিক মুন্সিপুর গ্রামের লাটিম জানান, প্রতিদিন ২০-৩০ পিস নতুন পুরাতন কাঁথা কেনা হয়। কাঁথা বুঝে মূল্য নির্ধারণ করা হয়। এসব কাঁথা যশোর বেনাপোল হয়ে সরকারের রাজস্ব দিয়ে ভারতে যায়। তিনি আরও জানান এসব কাঁথা ভারতে নিয়ে তারা খুব একটা ব্যবহার না করলেও  কাঁথা দিয়ে তৈরী করে ব্যাগ, কার্পেট, পাপোশসহ বিভিন্ন রকমের পন্য। যা ভারত অন্য দেশে রফতানি করে। কাঁথা সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করা দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের  কোমরপুর গ্রামের সুখতারা বলেন, একটি নকশী কাঁথা সেলাই করতে কমপক্ষে ২০-২৫ দিন লাগে মজুরি ১৫শ টাকা এবং নকশা বাদে ৮০০-১০০০ টাকা মজুরি নিয়ে থাকি। অবসর সময়ে এসব কাঁথা সেলাই করে সংসারে খরচের জোগান দিই।

Leave a comment