মাথাভাঙ্গা মনিটর: নিউজিল্যান্ডের দেয়া ১৯৬ রানের পাহাড় ডিঙানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। তবে প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফিরে বাজে কিছুরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। রানের খাতা খোলার আগেই তিনি মিশেল স্যাটনারের বলে টম ব্রুসের তালুবন্দি হন। এরপর তৃতীয় ওভারে ফিরে যান বাংলাদেশের দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান। ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে রান আউট হয়ে ফিরে যান ভালো খেলতে থাকা তামিম ইকবাল। ফিরে যাওয়ার আগে মাত্র ৭ বলে দুটি চারের মারে তিনি ১৩ রান করেন। তামিমের বিদায়ের পর মাঠে নামেন সাকিব আল হাসান। তবে বাজে শট খেলে মাত্র ১ রান করেই ফিরে যান তিনি। হুইলারের বলে নিশামের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আসা যাওয়ার মিছিলে নাম লেখান সাকিব। সাকিবের পর মাঠে নামেন সৌম্য সরকার। তবে গতকাল যেন ব্যর্থতার চক্র ভাঙার মন্ত্র জপে এসেছিলেন সৌম্য। ফলও পেয়েছেন যতো কিঞ্চিৎ। নিজের স্বভাব সুলভ ব্যাটিং আর ছন্দে দেখা যায় তাকে। সাব্বিরের সঙ্গে জুটি বেধে ৩ উইকেটে ৪৮ রানের বাংলাদেশকে টেনে ১০৪ রানে এনে বিদায় নেন সৌম্য। এর আগে অবশ্য নিজের স্বাভাবিক ব্যাটিঙের ধারে তিনি করে যান ৩৯ রান। ২ ছয় আর ৩ চারের মারে মাত্র ২৬ বলেই তিনি এই রান করেন। সৌম্যের বিদায়ের পর টাইগার ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিলে আর লাগাম দেয়া যায়নি। সৌম্যের পথ ধরে অর্ধশতক না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে দ্রুতই বিদায় নেন সাব্বির রহমান। ফেরার আগে অবশ্য ৩ চার আর ৩ ছয়ের মারে ৩২ বলে ৪৮ রান তুলেন তিনি। মাত্র ২ রানের আক্ষেপ নিয়ে সোদির বলে ক্যাচ তুলে ফিরে যান সাব্বির। সাব্বিরের বিদায়ের পর মাঠে নামা মোসাদ্দেকরও যেন খুব তাড়াহুড়া ছিলো। সাত বলে ১ রান করে উইলিয়ামসনের বলে ক্যাচ তুলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মোসাদ্দেক। মাহমুদুল্লাহ কিছুটা প্রতিরাধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে তিনিও বেশিক্ষণ মাঠে টিকতে পারেননি। ১৫ বলে ১ ছয়ের মারে মাত্র ১৯ রান করেই সোদির বলে উঠিয়ে মারতে গিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ। এরপর মাশরাফি, নুরুল হাসান আর রুবেল হোসেন কেবল আসা যাওয়ার মিছিলটি দীর্ঘ করেছেন। ১০৪ রানে ৪ উইকেটের বাংলাদেশ ১৪৮ রানেই গুটিয়ে যায়। ইস সোদি ৩৬ রানে ৩ ও কেন উইলিয়মিসন এবং বেন হুইলার ২টি করে উইকেট নেন। নিউজিল্যান্ড পায় ৪৭ রানের জয়। গতকাল শুক্রবার মাউন্ট মাঙ্গানুইতে দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে স্বাগতিকরা ৭ উইকেটে ১৯৫ রান করে। বড় সংগ্রহ গড়লেও শুরুটা দারুণ করেছিলো বাংলাদেশ। প্রথম বলেই উইকেট এনে দেন অধিনায়ক মাশরাফি। রানের খাতা খোলার আগেই লুক রনকিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের তালুবন্দি করান তিনি। এরপর কলিন মুনরো আর অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। কিন্তু সাকিব বল হাতে এসেই ৪২ রানের এ জুটি ভাঙেন উইলিয়ামসনকে (১২) তামিমের তালুবন্দি করে। দলীয় ৪৬ রানে মোসাদ্দেক হোসেনের বলে কোরি অ্যান্ডারসন সরাসরি বোল্ড হলে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। এদিকে গতকাল ম্যাচে জয়ের কারণে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা। এর আগে ওয়ানডে সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হয়েছিলো টাইগাররা। আগামী ৮ জানুয়ারি মাউন্ট মাঙ্গানুইতেই হবে শেষ টি-টোয়েন্টি।