বেগনগর বাজারের ছালাম ডাক্তারের বিরুদ্ধে প্রতারণা করে জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়ার অভিযোগ

 

 

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের সুবদিয়া গ্রামের এক সরল সোজা দরিদ্র বৃদ্ধা আ.রাজ্জাকের বেচা জমির টাকা না দিয়ে প্রতারণা করে রেজিস্ট্রি করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পদ্মবিলা ইউনিয়নের চার মাইল বাজারের ডাক্তার ছালামের বিরুদ্ধে। পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাসের মধ্যস্থতায় টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি ছালাম ডাক্তারের।

এ ব্যাপারে জমির মালিক সুবদিয়া গ্রামের মৃত ছাদেক আলীর ছেলে আ.রাজ্জাক জানান সংসারের খরচ মেটানোর জন্য বেগনগর গ্রামের রশিদ হোসেন ও সুবদিয়া গ্রামের নবীরুলের মধ্যস্থতায় তার সুবদিয়া মেন রাস্তার ধারে দুই কাঠা জমি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামে চার মাইল বাজারে ছালাম ডাক্তারের নিকট বিক্রির কথাবার্তা ফাইনাল হয়। কিন্তু প্রায় এক মাস আগে জমি বিক্রির টাকা ব্যাংকের হিসাবের মাধ্যমে দেবে বলে ছালাম ডাক্তার তাকে চুয়াডাঙ্গা সোনালী ব্যাংকে নিয়ে যান অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা ব্যাংকে জমা দেয়ার জন্য। কিছুক্ষণ ব্যাংকে বসে থাকার পর ছালাম ডাক্তার বলে এখন কাজ সারা হয়নি জমি রেজিস্ট্রি করে ব্যাংকে টাকা জমা করে দেবো। ছালাম ডাক্তারের কথা মত সাবরেজিস্ট্রি অফিসে এসে জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়ে টাকা চাইলে সে বলে এখন ও কাগজ আসেনি এখন আর টাকা জমা হবে না। পরে জমা করে দেবো। এরপর থেকে টাকা চাইলে বলে এখন ও ডলার ভাঙিয়ে আসেনি। এই ভাবে সে বিভিন্ন অজুহাতে ঘুরাতে থাকে। গতপরশু মঙ্গলবার সন্ধ্যার সময় টাকা চাইলে সে টাকা টাকা দিতে অস্বীকার করে এবং টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি বলে জানান। এরই একপর্যায়ে রাত ৯টার দিকে পদ্মবিলা চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বেগনগর বাজারে সালিস বসে। সালিসসভায় ছালাম ডাক্তার জমির মালিকের টাকা পরিশোধের প্রমাণ করতে না পারায় জমির মূল্য বাবদ ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধের জন্য ৩ মাস সময় নেন। এজন্য আগামী রোববারে ছালাম ডাক্তারের শ্বশুরের বেগনগর মাঠের ১ বিঘা জমি জমির মালিক আ.রাজ্জাকের নামে বায়নানামা করে দেবেন এবং ৩ মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে বায়নাকৃত জমিটি আ.রাজ্জাকের নামের রেজিস্ট্রি করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।