চুয়াডাঙ্গা চণ্ডিপুরের ফকির লাল মুহাম্মদের ১১০ বছরেও জোটেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড

 

হাবিবুর রহমান হাবিব: বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন লাল মুহাম্মদ। কিন্তু তার ভাগ্যে জোটেনি একটি বয়স্ক ভাতা’র কার্ড। অভাবী লাল মুহাম্মদের দিন চলে খেয়ে না খেয়ে। কাজ করার ক্ষমতা হারিয়েছেন অনেক আগেই। এই বয়সে একটি বয়স্ক ভাতা’র কার্ড পেলে হয়তো তার চলে যায়। কিন্তু কে দেবে তার একটি কার্ড করে। কতোজনকেই না তিনি বলেছেন। তাও হয়নি তার কার্ড। এ নিয়ে তার অনেক আক্ষেপ। আর কতো বয়স হলে মানুষ বয়স্ক ভাতা’র কার্ড পায়?

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের চণ্ডিপুর পশ্চিমপাড়ার মৃত আব্দুল গফুর মণ্ডলের ছেলে ফকির লাল মুহাম্মদের বয়স বর্তমানে ১১০ বছর। বয়সের ভারে ঠিক মতো চলাচল করতে পারেন না। চোখের জ্যোতিও নিভুনিভু। কানেও সেইভাবে শুনতে পারেন না। পেটে খিদে থাকলেও উপার্জনের ক্ষমতা নেই তার। আয় করে দেয়ার মতোও তেমন কেউ নেই ফকির লাল মুহাম্মদের। ৩ ছেলে ২ মেয়ের জনক তিনি। ২ ছেলে মারা গেছে। একমাত্র ছেলে আলী হোসেন দরিদ্র। অভাবের সংসার তার। জনপাট না খাটলে তারই চলে না। বয়স্ক ভাতা’র কার্ডের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে ফকির লাল মুহাম্মদ কাঁদো কাঁদো ভাষায় চোখের জল ফেলে বললেন, বাবা তোমারা যে আমাকে ভালো-মন্দ জিজ্ঞেস করলে এতেই আমি খুশি। তিনি অভিযোগ করেন, ভোটের আগে কতোজন ভোট চাওয়ার জন্য এসে দোয়া চায়। বলে যায়, জিতলে মুরব্বিকে একটা কার্ড করে দেব। ভোটের পরে আর কেউ আসে না। তিনি বলেন, দু বেলা দু মুঠো ভাত দেয় নাতি ছেলেরা। আর আমার জীবনসঙ্গী সেতো অনেক আগেই মারা গিয়েছে। আমার সমস্যার শেষ নেই। কার দিকে আর কতো বছর এভাবে তাকিয়ে থাকবো একটি ভাতা’র কার্ডের জন্য। তিন এ ব্যাপারে পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাসের সুদৃষ্টি কামনা করেন। তিনি বলেন ভাতা’র কার্ডটা করে দিলে যে কদিন বাঁচতাম তার জন্যেই দোয়া করতাম।

 

Leave a comment