ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের হরিণাকু-ুু থানার হিঙ্গারপাড়া গ্রমের ওহিদুল ইসলামের ছেলে সোহাগ (২০) ভ- কবিরাজের চক্রান্তে নিখোঁজ হয়েছেন। সোহাগের নিখোঁজের চক্রান্তে চাচা মনির হোসেন ১৫ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
চাচা মনির হোসেন বলেন, ভাতিজা সোহাগ ঝিনাইদহ সদরের ডাকবাংলা বাজারের নাথকু-ুু গ্রামের প্ররোরচনায় আনুমানিক চার বছর আগে চাকরির উদ্দেশে ভারতের ব্যাঙ্গালোরে যায়। বেশ কিছুদিন পর বাড়িতে ফিরে এসে এলো মেলো কথা বলতে থাকে। আমরা তার মাথায় সমস্যা হয়েছে বলে ডাক্তার, কবিরাজ দেখাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করি। আমরা গরিব হওয়ার কারণে টাকা-পয়সা কম লাগবে ভেবে কবিরাজ দেখাতে থাকি। ঝিনাইদহ সদরের বাজার গোপালপুরের ইস্কুলের পাশে বাসা জৈনক কাঠ ব্যবসায়ী ও ভ- কবিরাজ আব্দুল হান্নান উপদৃষ্টির ভাব হয়েছে তাই জলসার করে জিন তাড়ানোর নাম করে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পরবর্তীতে ঝিনাইদহ সদরের কালীকাপুরের জৈনক মহিলা কবিরাজের কাছে গেলে উপদৃষ্টির ভাব হয়েছে বলে গরিব অসহায় মনির হোসেনের কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে কাজের কাজ না হলে ওই মহিলা কবিরাজ আবার ঝিনাইদহ সদরের মধুপুর চাপড়ি গ্রামের আরেক মহিলা কবিরাজ কদভানুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সোহাগকে দেখাতে কবিরাজের কাছে নিয়ে গেলে কবিরাজ কদভানু সোহাগকে রেখে চাচা মনির হোসেনকে নিজ বাড়িতে চলে যেতে বলেন। চাচা মনির হোসেন কবিরাজ কদভানুকে বলে আমি রেখে গেলে সোহাগের কোনো সমস্যা হতে পারে কি-না। কদভানু আশা দিয়ে বলে আমার কাছে জিন আছে। আমার কাছে যে আসে তার কোনো সমস্যা হতে পারে না। আপনি নিশ্চিন্তে নিজের বাড়িতে চলে যাও। সোহাগ হারিয়ে বা পালিয়ে গেলে আমার কাছ থেকে বুঝে নিবেন। আমি সারা রাত সোহাগকে চিকিৎসা দেবো বাইরের লোক থাকলে চিকিৎসা দেয়া যাবে না তাই আপনি বাড়িতে চলে যান। এ কথা শুনে চাচা মনির হোসেন কবিরাজ কদভানুর কাছে সোহাগকে রেখে নিজের বাসায় ফিরে আসে। পরদিন মহিলা কবিরাজ কদভানুর কাছে সোহাগ কোথায় যানতে চাইলে ভ- কবিরাজ কদভানু বলে আমি সোহাগের কানে গরম রড ঠেসে ধরার পর থেকে সোহাগ কোথায় চলে গেছে বা কি হয়েছে আমি জানি না। এর পর থেকেই সোহাগের আর কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান চাচা মনির।
উল্লেখ্য, এতিম সোহাগের মা ও চাচাসহ বাড়ির সবাই ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের সকল স্তরের কর্মকর্তাদের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন সোহাগকে খুঁজে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে এবং এই সমস্ত ভ- কবিরাজের আইনের আউতায় এনে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করতে। যাতে সাহাগের মতো আর কেউ এই ভ- কবিরাজদের প্রতারণার শিকার না হয়।