চাঁদার টাকা নিতে গিয়ে হাতেনাতে তিন চাঁদাবাজ আটক : গণপিটুনি শেষে পুলিশে সোপর্দ

চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ কালুপোলে প্রবাসীর পিতার বাড়িতে বসে চাঁদার টাকা নিয়ে দরকষাকষি : প্রতিবেশীদের প্রশংসনীয়  পদক্ষেপ

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রবাসী পুত্রের পিতার কাছে দাবিকৃত পনেরো লাখ টাকা চাঁদা নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে গ্যাং প্রধান মোমিনসহ ৩ জন। পালিয়েছে শাহাপুরের মিথুন। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের তিতুদহ কালুপোলের বরকত আলীর বাড়ি থেকে ধরাপড়ে তিন চাঁদাবাজ। হাতেনাতে ধরাপড়ার পর তিনজনকে গণপিটুনি শেষে পুলিশে দেয়া হয়েছে।

আটক তিন চাঁদাবাজ হলো- চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ছয়ঘরিয়ার আলিম উদ্দীনের ছেলে আব্দুল মোমিন (২৫), শাহাপুরের জাহিদ হাসানের ছেলে নুরুজ্জামান (২৮) ও বহলাগাছির বাবুল মৃধার ছেলে মানিক মৃধা। এরাসহ শাহাপুরের শান্তির ছেলে মিথুন পূর্বের দাবিকৃত ১৫ লাখ টাকা চাঁদার মধ্যে এক লাখ টাকার দরকষাকষির একপর্যায়ে ধরা পড়ে এরা। পুলিশ বলেছে, মোমিন একাধিক খুন মামলাসহ বহু অভিযোগে অভিযুক্ত। সে তার নিজের নামেই এলাকায় গ্যাঙ গ্রুপ গড়ে তোলে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের তিতুদহ ইউনিয়নের কালুপোল গ্রামের মৃত ছন্নত আলীর ছেলে বরকত আলী কৃষক। তার ছেলে প্রবাসী। সম্প্রতি মোমিন নিজেকে সর্বহারা পাটির প্রধান বলে পরিচয় দিয়ে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দিলে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেয়। উপায় না পেয়ে প্রবাসী সন্তানের পিতা বকরত আলী চাঁদার পরিমাণ কমাতে অনুরোধ জানান। দরকষাকষির একপর্যায়ে ১ লাখ টাকায় দাঁড়ায়। এ টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ৪ চাঁদাবাজ আত্মীয় সেজে বরকতের বাড়িতে ঢোকে। সেখানেও শুরু হয় চাঁদার পরিমাণ দরাদরি। এরই একপর্যায়ে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে হাতেনাতে তিনজনকে আটক করে পিটুনি শুরু করে। একজন পালিয়ে যায়। পিটুনির পর খবর দেয়া হয় পুলিশে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা ও তিতুদহ ফাঁড়ি পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়। পরে নেয়া হয়েছে থানা কাস্টডিতে। মামলা হয়েছে। বরকত বাদী হয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় আজ সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে। জানানো হতে পারে রিমান্ডের আবেদন।

পুলিশ বলেছে, ছয়ঘরিয়ার মোমিন এলাকায় গ্যাং গ্রুপ গড়ে চাঁদাবাজিই শুধু নয়, সে খুনও করেছে। ছয়ঘরিয়ার সিরাজুল ইসলাম সিরাজ হত্যা মামলার সে প্রধান আসামি। সিরাজকে বড়সলুয়া-ছয়ঘরিয়া সড়কের মোড়ে বোমা মেরে ও কুপিয়ে সিরাজুলকে আনুমানকি দু বছর আগে খুন করে মোমিন গ্যাং। এ মামলায়ও তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।