বিশ্ব টুকিটাকি : ৩৫ হাজার ফুট ওপরে রহস্যময় আগুনের গোলা : হতভম্ব তিন পাইলট

অবৈধ অভিবাসন : যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরলেন ৩৮ বাংলাদেশি

মাথাভাঙ্গা মনিটর: যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী ৩৮ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে দেশটির সরকার। গত বুধবার মধ্যরাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর তারা নিজের নিজের গন্তব্যে চলে গেছেন বলে ইমিগ্রেশন পুলিশ জানিয়েছে। বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের বিশেষ সুপার মাহবুবুর রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, এই ৩৮ বাংলাদেশি অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন মেয়াদে ছিলেন। অন্যান্য দেশ থেকেও অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশিরা এভাবে মাঝে-মধ্যে ফেরত আসছেন বলে জানান ইমিগ্রেশন পুলিশের এই কর্মকর্তা। এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা, রুটিন ওয়ার্ক। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধভাবে বসবাস করা বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠায় সে দেশের সরকার। ফেরত আসা ব্যক্তিদের কারও বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কি-না জানতে চাইলে মাহবুবুর বলেন, এ রকম কিছু আমাদের জানা নেই। সবাই নির্বিঘ্নে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে গেছে।

জয়ললিতার মৃত্যুর শোকে ৭৭ জনের মৃত্যু

মাথাভাঙ্গা মনিটর: আম্মা’ বলে পরিচিত ভারতের তামিলনাড়ুর সদ্য প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম জয়ললিতার শোক সইতে না পেরে রাজ্যর বিভিন্ন স্থানে ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। জয়ললিতার দল এআইডিএমকে থেকে এই দাবি করা হয়। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বুধবার পর্যন্ত এ তথ্য পাওয়া গেছে। জয়ললিতার ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে ৩০ জন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে ভারতের সেন্ট্রাল ইনটেলিজেaf383df338342643a0a208b206878a0f-73f9d3b8eee20529353043ea664507de-3ন্স জানিয়েছে। খবরে জানানো হয়, যারা মারা গেছেন, তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও গভীর শোক প্রকাশ করেছে দলটি। ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৭৭ জনের পরিবারকে তিন লাখ রুপি করে আর্থিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। একই কারণে যারা আহত বা আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের ৫০ হাজার রুপি করে দেয়া হবে। দলের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘আম্মার অসুস্থতা ও মৃত্যুর শোকে রাজ্যজুড়ে ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তামিলনাড়ুবাসীর ‘আম্মা’ জয়ললিতা অসুস্থ হয়ে ৭৪ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত সোমবার রাতে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে রাজ্যজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।

৩৫ হাজার ফুট ওপরে রহস্যময় আগুনের গোলা : হতভম্ব তিন পাইলট

মাথাভাঙ্গা মনিটর: মাঝরাতের গ্রহতারায় ভরা আকাশে উড়ে যাচ্ছিলো বিমান। শূন্যের বুকে আচমকা আগুনের গোলা দেখে হকচকিয়ে যান পাইলট। কলকাতা থেকে উত্তর-পশ্চিমে বারাণসীর আকাশে জেট এয়ারওয়েজের পাইলট তখন ৩৬ হাজার ফুট ওপরে। দিল্লি থেকে যাত্রী নিয়ে উড়ছেন ব্যাঙ্কক অভিমুখে। দিন তিনেক আগেকার ঘটনা। রাত তখন ১টা বেজে গিয়েছে। আগুনের গোimageলা দেখে সাথে সাথে কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এ সব জানান পাইলট। চোখের ভুলও তো হতে পারে! কিন্তু জেটের ওই পাইলটের কাছ থেকে বার্তা পাওয়ার মিনিট পাঁচেকের মধ্যে পরপর দুটি বিদেশি বিমানের পাইলটও একই বার্তা পাঠান। তারাও তখন বারাণসীর আকাশেই এবং তাঁদেরও অবস্থান তখন ৩৫ থেকে ৪০ হাজার ফুট উঁচুতে। একটি বিমান পশ্চিম এশিয়া থেকে উড়ে যাচ্ছিলো অস্ট্রেলিয়ার দিকে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে ইউরোপের দিকে যাচ্ছিলো অন্য বিমানটি। এক এটিসি অফিসারের কথায়, ‘প্রথমেই আমাদের মনে হয়েছিলো, আকাশে কোনও বিমানে বড় ধরনের বিস্ফোরণ হলে আগুনের এ-রকম গোলা দেখা যেতে পারে। সাথে সাথে শুরু হয় খোঁজ। ওই সময়ে বারাণসীর আকাশ দিয়ে উড়ে যাওয়া সব বিমানের খোঁজ নিতে শুরু করেন এটিসি অফিসারেরা। কিন্তু তেমন কোনও দুর্ঘটনার খবর মেলেনি। তা হলে কী ঘটেছিলো? তিনজন পাইলট ঠিক কী দেখে বললেন যে, সেটা আগুনের গোলা? জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, ওই তিন পাইলটে ঠিক কী দেখেছিলেন, তার ছবি না-দেখে নিশ্চিত কিছু বলা কঠিন। অনেক সময় আকাশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে জ্বলন্ত উল্কা ছুটে যায়। উল্কা একটু বড় মাপের হলে তা বায়ুমণ্ডলে ঢোকার পরে ঘর্ষণে জ্বলে।

কে পাবে জয়ললিতার শত কোটি রুপির সম্পদ?

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের তামিলনাড়ুর সদ্য প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা গত মে মাসে নির্বাচনের জন্য দেয়া হলফনামায় ঘোষণা দিয়েছিলেন, তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১১৩ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫৮৬ রুপি। এর মধ্যে অস্থাবর সম্পত্তি ৪১ কোটি রুপির এবং স্থাবর সম্পত্তি ৭২ কোটির।  অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে আছে ২১ কেজির কিছু বেশি সোনা ও ১ হাজার ২৫০ কেজি রুপার গয়না, নগদ ৪১ হাজার রুপি আর ব্যাংক হিসেবে ১০ কোটি ৬৩ লাখ ৮৩ হাজার ৯৪৫ রুপি। বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার, ডিবেঞ্চার আর বন্ড মিলিয়ে বিনিয়োগ প্রায় সাড়ে ২৭ কোটি রুপি। এছাড়া দুটি টয়োটা প্রাডো এসইউভিসহ মোট ন৯টি গাড়িও আছে জয়ললিতার। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে যা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে সেটি হলো চেন্নাইয়ের পোজ গার্ডেন এলাকায় ২৪ হাজার বর্গফুট জুড়ে বাংলোটি। এটির বাজারদর প্রায় ৪৪ কোটি রুপি। জয়ললিতার নামে চারটি ব্যবসায়িক কমপ্লেক্স, আঙুরের বাগান এবং চাষের খেতও আছে। প্রশ্ন উঠেছে, হলফনামার বাইরে জয়ললিতার আর কতো সম্পদ আছে এবং এই বিপুল পরিমাণ সম্পদের উত্তরাধিকারীই বা কে হবেন? তিনি কোনো দানপত্র করে যাননি। জয়ললিতার ভাইয়ের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। তবে তাদের জয়ললিতার মরদেহের কাছে ঘেঁষতে দেননি তার দীর্ঘদিনের বান্ধবী শশীকলা। সম্প্রতি দুই বান্ধবীর মধ্যে চরম বিবাদ হলেও জয়ললিতা হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে শশীকলাকেই দেখা গেছে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে। তিনিও সম্পত্তির মালিক হতে পারেন বলে কারও কারও ধারণা।