ভালাইপুর প্রতিনিধি: ঢাকার এসএম ট্রেডিঙের এসএম র্যানডোম এগ্রোফুড কোম্পানি গোকুলখালীর ডিলারের নিকট থেকে নেয়া টাকার অর্ধেক মাল দেয়ায় বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে। কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে মালবহন করা ট্রাক আটকালেও পুলিশি হস্তক্ষেপে তা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ঘটনাটি গতকাল গোকুলখালী এলাকায় প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে,আলমডাঙ্গার গোকুলখালী বাজারের কদর হোসেনের ছেলে আজিজুল হক ও দামুড়হুদার গোপিনাথপুর গ্রামের ওয়াহেদ হোসেনের ছেলে ইয়ামিন হোসেন ওই কোম্পনির চুয়াডাঙ্গা টেরিটোরি সেলস্ আফিসার ও জেলা এরিয়া ম্যানেজার হিসাবে চাকরি নেন। এরা নিয়োগপ্রাপ্ত দুজন মিলে কোম্পানির অফিস ওয়াজি কমপ্লেক্স ৩১/সি( লিফট লেবেল ৭) তোপখানা রোড পুরানো পল্টন ঢাকা-১০০০, হতে দুই দিনের প্রশিক্ষণ নেন। গোকুলখালী বাজারের ব্যবসায়ী হামিদুল হককে ডিলার নিযুক্ত করেন। গত ২৮ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা ইসলামী ব্যাংক হতে কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইসলামী ব্যাংক হাজি ক্যাম্প শাখায় ৪ লাখ ৫ হাজার ২০ টাকা অনলাইনের মাধ্যম্যে পাঠানো হয়। হামিদুল হকের অভিযোগ, চুক্তিপত্র অনুযায়ী পুরো টাকার পণ্য আসার কথা থাকলেও গত ৩ ডিসেম্বর শনিবার সকালে (ঢাকা-মেট্রো-ন ১১-২৫৬৫২) মিনি পিকআপে ২ লাখ ৯২ হাজার ৮৬০ টাকার পণ্য নিয়ে গোকুলখালী বাজার পৌঁছায়। অল্প টাকার পণ্য আসার কারণে ট্রাকটি আটকানো হয়। পরে চালক আলমডাঙ্গা থানায় নালিশ করলে গতপরশু মঙ্গলবার সকালে আলমডাঙ্গা থানার এসআই সাজ্জাদ হোসেন গোকুলখালী বাজার থেকে গাড়িটি উদ্ধার করেন। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলার টেরিটরি সেলস্ আফিসার ইমামিন হোসেন ও জেলা এরিয়া ম্যানেজার আজিজুল হোসেন দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেছেন, কোম্পানি কেন চুক্তিভঙ্গ করেছে তা জানি না। চুক্তিমতো টাকার পণ্য না দিলে আমাদের বেকরত্ব ঘোচানোর স্বাদ মিটে যাবে। জানি না ভাগ্যে আমাদের কি আছে।