শিগগিরই চুয়াডাঙ্গাকে ভিক্ষুকমুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা দেয়া হবে

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্তকরণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় সহায়ক উপকরণ হিসেবে ৩০ জন ভিক্ষুকের মাঝে ছাগল, চটপটি বিক্রির জন্য সুসজ্জিত ভ্যানগাড়ি, প্লাস্টিকের বালতিসহ সাংসারিক নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১২টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চত্বরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভিক্ষুকদের মাঝে ওই সমস্ত সহায়ক উপকরণ ভিক্ষুকদের হাতে তুলে দেন। উপকরণ বিতরণ শেষে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। তিনি উপস্থিত ভিক্ষুকদের ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদের যাতে আর ভিক্ষাবৃত্তি করতে না হয় সে লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। দামুড়হুদা উপজেলায় মোট ৫৬৫ জন ভিক্ষুকের মধ্যে উপজেলা সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে ১৮০ জনকে বয়স্কভাতা, ১৬০ জনকে বিধবাভাতা, ৫০ জনকে প্রতিবন্ধীভাতা এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসের মাধ্যমে ১৭৫ জনকে ভিজিডি প্রদান করা হয়েছে। উপজেলায় তালিকাভুক্ত সকল ভিক্ষুককে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির আওতায় সরকার নির্ধারিত ১০ টাকা কেজি দরের চাল প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া উপজেলায় ভিক্ষুকমুক্তকরণ, ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান ও পূর্ণবাসন তহবিল শিরোনামে দামুড়হুদা সোনালী ব্যাংকে একটি চলতি হিসাব খোলা হয়েছে। হিসাব নং-০০১০১৭২৫২। ওই হিসাব নম্বরে ইতোমধ্যেই দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের কর্মচারীদের একদিনের বেতন বাবদ ৬ হাজার ৭৮১ টাকা জমা করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা উন্নয়ন তহবিল থেকে ভিক্ষুকদের কর্মস্থান ও পুনর্বাসনের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি ভিক্ষুকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, আমরা অতিশিগগিরই চুয়াডাঙ্গা জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা দেবো।

দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক শরীফুল আলম মিল্টনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ছালমা জাহান পারুল, উপজেলা কৃষি অফিসার সুফি মো. রফিকুজ্জামান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার সাহা, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নূরজাহান, ইউপি সদস্য আবু সাইদ, মুনসুর আলী, আশাদুল হক, হামিদা খাতুন, শামিমা সুলতানা, পাপিয়া খাতুন, লুৎফর রহমান, কুতুব উদ্দিন, আলেফ খাঁ প্রমুখ। সার্বিক সহযোতিায় ছিলেন নাজির হামিদুল ইসলাম।