মাইক্রোভর্তি ভারতীয় শাড়িসহ ৬ লাগেজকারবারী পাকড়াও

চুয়াডাঙ্গার হিজলগাড়ি বাজার মোড়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশের বিশেষ অভিযান

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ, বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশ ও হিজলগাড়ি ক্যাম্প পুলিশ হিজলগাড়ি বাজার মোড়ে যৌথ অভিযান চালিছে মাইক্রোভর্তি ৩শ পিস ভারতীয় শাড়িসহ ৬ লাগেজকারবারীকে আটক করেছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পূর্বক মালামালসহ আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ছুফি উল্লাহর নেতৃত্বে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তোজাম্মেল হোসেন, বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই মাসনুন আলম এবং হিজলগাড়ি ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এএসআই শফিকুর রহমান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিশেষ অভিযান চালান হিজলগাড়ি বাজার মোড়ে। এ সময় ছাই ও ক্রিম রঙের একটি মাইক্রো (ঢাকা-মেট্রো-গ-১৩-৩১২৭) এবং একটি টিভিএস লাল রঙের মোটরসাইকেল (চুয়াডাঙ্গা-হ-১২-৩৯০০) থামান। পুলিশ ওই মাইক্রো তল্লাশি করে ৬টি লাগেজের ব্যাগ উদ্ধার করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মাইক্রো, মোটরসাইকেল এবং উদ্ধার করা ব্যাগগুলো হিজলগাড়ি পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেই সাথে মাইক্রোর ভেতরে বসে থাকা দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের নাজিম উদ্দীনের ছেলে মামুনুর রহমান (২৫), নাজমুল হক রাজিব (৩০), জয়রামপুর শেখপাড়ার মুনছুর আলীর ছেলে বকুল (২৫), দর্শনা দক্ষিণচাঁদপুর গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে বাবু (২৭), আজিবর রহমানের ছেলে মাইক্রোচালক আরিফ (২৫) ও দর্শনা পুরাতন বাজারপাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে আমিনুল ইসলাম ওরফে আমিনকে (২৭) গ্রেফতার করেন। পরে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে লাগেজের ব্যাগগুলো খুলে ৩শ পিস ভারতীয় শাড়ি সিজার লিস্ট করেন। এ ঘটনায় বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের এসআই মাসনুন আলম বাদী হয়ে মালামালসহ গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরপূর্বক আদালতে সোপর্দ করেন। এদিকে মাইক্রোচালক আরিফ জানায়, আমাকে ৩ হাজার ৫শ টাকা ভাড়া দিয়ে কুষ্টিয়ায় নিয়ে যাচ্ছিলো। ওই শাড়ি সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা আমাকে জানায় ভ্যাটের কাগজ আছে। কোনো সমস্যা নেই।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানায়, দীর্ঘদিন থেকে একটি লাগেজ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দর্শনা জয়নগর সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় বিভিন্ন মালামাল সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। পরে পাচার করে আনা সে সব মালামাল ট্রেনে, বাসে, মাইক্রোসহ বিভিন্ন যানবাহনে পৌঁছে যায় ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায়। আর এ কাজে স্থানীয় একটি দালালচক্র বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নামে বেনামে লাগেজ ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে টোল আদায় করে থাকেন। এদিকে একটি সূত্র বলেছে, গতকালের এ ঘটনায় বিভিন্ন কৌশলে ৪০ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই মাসনুন বলেন, যারা গ্রেফতার হয়েছে তারাই শুধু দোষী না, এর নেপথ্যে যারা আছে তাদের বিষয়েও তদন্ত করা হবে।

Leave a comment