এবার চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার মেয়র মান্নান

 

স্টাফ রিপোর্টার: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। মামলায় মেয়র মান্নান ছাড়া আরও ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে জয়দেবপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন টঙ্গী শিলমন এলাকার মৃত বাছির উদ্দিনের ছেলে মো. রমিজ উদ্দিন। গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের মাধ্যমে শুক্রবার আসামিকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এ নিয়ে মেয়র মান্নানের বিরুদ্ধে মোট ২৮টি মামলা হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী মো. রজিম উদ্দিন টঙ্গী শিল্প এলাকায় তার নিজ জমিতে কারখানা করার জন্য সিটি মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নানের কাছে অনাপত্তি সনদের জন্য যোগাযোগ করেন। এ প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বাদী তার কাগজপত্রসহ মেয়রের কার্যালয়ে যান। এ সময় মেয়রের অফিস কক্ষের সঙ্গে থাকা একটি রুমে নিয়ে মেয়র মান্নান তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে তাকে কারখানা করতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দেয়া হয়। কিন্তু চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে অধ্যাপক এমএ মান্নানের হুকুমে ও নির্দেশে অপরাপর আসামি মেয়রের এপিএস মো. বিল্লাল হোসেন, মো. রইচ উদ্দিন, আরিফ হাওলাদার, মো. সালাউদ্দিন, মো. আমিনুল ইসলাম লিটু, মো. কাওসারসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন তাকে মারধর করেন।
রমিজ উদ্দিন জানান, এক পর্যায়ে তিনি চিৎকার করলে অধ্যাপক মান্নান তার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন। এসময় অন্যান্য আসামিরা তার কাছ থেকে নগদ ৫৫ হাজার টাকা ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেন। আর চাঁদা না দিলে তাকে হত্যা করে বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।
এদিকে সিটি কর্পোরেশনের ত্রাণ ও দারিদ্র তহবিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলায় ১৯ জুন মেয়র মান্নানকে সব শেষ গ্রেফতার দেখানো হয়। বৃহস্পতিবার এ মামলায় তার জামিন সংক্রান্ত হাইকোর্টের দেয়া আদেশ আপিল বিভাগ বহাল রাখেন। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা অধ্যাপক এমএ মান্নানকে এবার চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলে তার মুক্তি আবারো আটকে গেলো। গাজীপুরে মেয়র মান্নানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ড. শহীদুজ্জামান রহমান জানান, যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলার মামলায় গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মেয়র এমএ মান্নানকে ঢাকার বারিধারার বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়।
২২ মামলায় জামিনের পর হাইকোর্ট থেকে সর্বশেষ জামিন লাভ করে চলতি বছরের ২ মার্চ তিনি কারামুক্ত হন। এপ্রিল মাসে তিনি মেয়র পদ ফিরে পান। এ অবস্থায় চলতি বছর ১৫ এপ্রিল এমএ মান্নানকে ফের নাশকতার তিনটি মামলায় গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একই মাসে তাকে ফের বরখাস্ত করা হয়। ১৫ এপ্রিল থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।

 

 

 

Leave a comment