যানজটে অতিষ্ট এলাকাবাসী : প্রতিকারের দাবি
স্টাফ রির্পোটার: দিনের বেলা কিংবা রাত্রী হোক না কেনো মুন্সিগঞ্জ রেল স্টেশনের রেল গেট পড়লেই চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কে দীর্ঘ লাইনের মোটরযান দাড়িয়ে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। রাস্তার দু পাশে রয়েছে দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাসা বাড়ি। এ চিপা রাস্তায় একটি গাড়িই ভালোভাবে যেতে পারে। দুটি গাড়ি পাশাপাশি সাইড দিতে গেলেই ঘটে বিপত্তি। ফলে যাজনট আর গাডির হর্ণের শব্দে কান ঝালাপালা হয়ে যায়। রাস্তার পাশেই রয়েছে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গাড়ির হর্ণ বাজানোর ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যহত হয়। এছাড়া স্কুলে আসা যাওয়ার সময় যানজটে আটকা পড়ে থাকতে হয় দীর্ঘক্ষণ। পাশ দিয়ে পায়ে হেটে গন্তব্যে পৌঁছানোর কোনো উপাই নেই। চাকরি জীবীদেরও একই অবস্থা। জরুরি কাজে বের হয়ে রেল গেটে পড়লেই সর্বনাশ এক কথায় ঘণ্টা পার। এ দৃশ্য এখন নিত্য দিনের। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে এ যানজট থেকে মুক্তি পেতে সড়কটি প্রসস্থ করার দাবি তুলে আসলেও কতৃপক্ষের ঘুম ভাঙেনি। পূরণ হয়নি কাঙ্খিত প্রত্যাসা।
চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কটি জেলার ব্যস্ততম সড়কের মধ্যে অন্যতম। সড়কটির মুন্সিগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে গেটে পড়লেই সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। সড়কের মুন্সিগঞ্জ হাসপাতাল মোড় থেকে সমিল পর্যন্ত চিপা রাস্তার মাঝখানে মুন্সিগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলার পরিবহন যাতায়াযাত করে। রেল সড়কের ওপর দিয়ে কোনো রেল অতিক্রম করার সময় দুর্ঘটনা এড়াতে গেট ফেলে সড়ক বন্ধ করে দেয় গেটের দায়িত্বে থাকা গেটম্যান। গেটের দুপাশে সারিবদ্ধভাবে দূরপাল্লার পরিবহনসহ বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, আলমসাধু, নচিমন, করিমন, অটো, লাটা হাম্বার অসংখ গাড়ি দাড়িয়ে থাকে। দুটি গাড়ি ট্রাক অথবা পরিবহন পাশাপাশি যেতে গিয়ে বাধেঁ যানজট। সকালে ও বিকালের পর থেকে বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়। গেট পড়ার পর অনেকেই মোটরসাইকেল, সাইকেল নিয়ে গেটের নিচ দিয়ে ঝুকি নিয়ে রাস্তা পারপার হয়। ট্রেন আসলে দ্রুত লাইনের পাশে জীবনের ঝুকি নিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। আবার অনেকেই যানজট এড়াতে বিকল্প সড়কে যেতে দেখা গেছে। তবে যানজটে আটকে পড়া গাড়িগুলো সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে থাকলে যানজট অনেকটা কমে হয় বলে মন্তব্য অসেতের। রেলগেটের পাশ থেকে রেলওয়ের জমি থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো উচ্ছেদ করা গেলে যানজট অনেকটা কমে আসবে বলে এলাকাবাসী মনে করে। এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের মুন্সিগঞ্জ হাসপাতাল মোড় থেকে সমিল পর্যন্ত রাস্তা দু পাশে বাড়িয়ে প্রসস্থ করা হোক।