এম আর বাবু: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার ছাগল ও ভেড়ার বিনামূল্যে রোগ প্রতিষেধক পিপিআর ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। গতকাল শনিবার উপজেলার ৯০টি কেন্দ্র দিনব্যাপী এ ভ্যাকসিন দেয়া হবে। খামারি ও ছাগল-ভেড়া পালনকারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ছাগল-ভেড়াকে রোগ প্রতিষেধক ভ্যাকসিন দিতে টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে নিতে দেখা যায়। জীবননগর উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ও উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়েছে। দেশে ছাগল-ভেড়ার ভ্যাকসিন দেয়ার প্রোগ্রাম এটিই প্রথম বলে মনে করা হচ্ছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল বলেন, উপজেলার ৯০টি কেন্দ্রে ৫০ হাজার ছাগল-ভেড়ার ভ্যাকসিন দিতে ২ লাখ টাকা ব্যয়ে পিপিআর ভ্যাকসিন ও উপকরণ কেনা হয়েছে। যা উপজেলা পরিষদের তথবিল থেকে ব্যয়ভার বহন করা হচ্ছে। ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম সফল করতে ৮টি ইউনিয়নে ৮ জন তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। ইউএনও নূরুল হাফিজ জানান, সচেতনতার অভাবে প্রতিবছর পিপিআর অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে শ শ ছাগল-ভেড়া মারা যায়। এ ব্যাপারে দেশে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গবাদিপশুর টিকা দানের কোনো ব্যবস্থা নেয়। এ কথা চিন্তা করে এ উপজেলাতে ব্লাক বেঙ্গল গট ছাড়াও অন্যান্য জাতের ছাগল ও ভেড়ার মৃত্যু হার কমাতে আগেভাগেই প্রতিষেধক ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়। উপজেলার ১০৮টি গ্রামের ৯০টি স্থানে ভ্যাকসিন কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ৯০টি এ কেন্দ্রে প্রশিক্ষিত ৯০ জন পল্লি পশুচিকিৎসক দিয়ে ভ্যাকসিনেশন করা হচ্ছে। এ প্রতিষেধক টিকা দেয়ার ফলে চলতি বছর পিপিআর রোগে আক্রান্ত হয়ে ছাগল-ভেড়া মৃত্যুর হার বহুলাংশে কমে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, ছাগল-ভেড়ার এ ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম সফল হলে ছাগল-ভেড়ার পাশাপাশি এবার ৮ হাজার গরু ও মোষের ভ্যাকসিন দেয়ার প্রকল্প হাতে নেয়া হবে জানান তিনি। উপজেলার পুরাতন তেঁতুলিয়া গ্রামের মল্লিক মণ্ডল জানান, তার অর্ধশত ছাগলকে বিনামূল্যে রোগ প্রতিষেধক টিকা দিতে পেরে তিনি বেশ খুশি। তিনি প্রতি বছর এমন আয়োজন অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।